Thursday, June 15, 2017
দাজ্জালের যুগে বহু মানুষ জাগতিক ভোগ
দাজ্জালের যুগে বহু মানুষ জাগতিক ভোগ">দাজ্জালের যুগে বহু মানুষ জাগতিক ভোগ
বিলাসের বিনিময়ে নিজের ঈমান বিক্রি করে
ফেলবে। তারা ঈমান পরিত্যাগ করে দুনিয়াকে বরণ
করে নেবে। কাজেই যারা আল্লাহর দেওয়া জীবন
পরিচালনার পরিবর্তে দাজ্জালের ব্যবস্থায়
জীবন পরিচালনা করবে, তারা দাজ্জালের
কপালের ’কাফিরুন’ লিখাটি দেখতে পাবে না,
এমনকি অক্সফোর্ড, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করলেও না। বরং
তারা দাজ্জালকে যুগের মসীহ, মানবধর্ম,
মানবতার মুক্তির সনদ, মানবাধিকার, নারীবাদী,
প্রগতীশীল আখ্যা দেবে। এর পক্ষে যুক্তি
প্রমানে গাদা গাদা বই, সেমিনার, বক্তৃতা, মুভি,
ড্রামা, সংগীত যত রকমের শয়তানী চিন্তা আছে
সব দিয়ে জাস্টিফাই করা হবে। তারপরেও তারা
নিজেদের ব্যাপারে দাবি করবে, তারা মুসলমান,
অথচ ইসলামের সঙ্গে তাদের সামান্যতম কোন
সম্র্পক থাকবেনা। এসব এইজন্য হবে যে, বদ-
আমল ও আত্মিক পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার কারণে
তাদের ঈমানী শক্তি রহিত হয়ে যাবে। উপরন্তু
যারা সত্যটা প্রকাশ করবে, তারা তাদেরকে
বিভ্রান্ত বলবে, তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার
শারীরিক, মানসিক, অথনৈতিক, সামাজিক ভাবে
কষ্টে নিপতিত করে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য
করবে।
এই মত আমি নিজের পক্ষ হতে দিচ্ছিনা। বরং
বুখারী শরিফের ব্যাখ্যাকার হাফিজ ইবনে হাজার
আসকালানী রহ: ও মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যকার
ইমাম নববী রহ: এই ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ: ফাতহুল
বারীতে লিখেন- ‘সেদিন আল্লাহ লেখাপড়া জানা
ব্যতিরেকেই মুমিনদের জন্য বুঝ তৈরী করে
দেবেন।
ইমাম নববী রহ: লিখেছেন- সেদিন আল্লাহ
মুমিনদের জন্য উক্ত লেখাটি প্রকাশ করে
দেবেন আর বদকার লোকদের জন্য গোপন করে
রাখবেন।
(Idea by 3rd World War & Dajjal, Edited by
Me)
কি শবে বরাত, কি শবে মেরাজ,
কি শবে বরাত, কি শবে মেরাজ, ওয়াজ মাহফিল থেকে শুরু করিয়া বিবাহে পর্যন্ত এখন মসজিদ সুসজ্জিত করিবার প্রতিযোগীতা চলিতেছে। এহেন কর্মকান্ড দেখিলে মনে হয়, মসজিদ সুসজ্জিত করিয়া সমাজপতিরা জান্নাত খরিদ করিয়া নিবে। উনারা অবৈধ পন্থায় রোজগার করে, আর তাহা হইতে দুয়েক পয়সা ধর্মের পথে খরচ করিয়া তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলিয়া চিন্তায় মশগুল থাকে,, আহ! জান্নাতে যাওয়া আমার ঠেকায় কে??
কুরআন তিলাওয়াত ও এখন অনুষ্ঠান সর্বস্ব হইয়া পড়িয়াছে, বরাত, মিরাজ, রমযান আসলেই আমাদের কুরআন খতমের হিড়িক পড়ে যায়। আমরা কুরআনকে আসলে খতম করিয়াই ফেলিয়াছি, শুরু আর করিতে পারি নাই। তাই কুরআন এখন পান্ডুলিপি বৈ কিছু নয়।
বর্তমান আলেমগণ ও এক কাঠি সরেস, তাহারাও পিছিয়া থাকিবেন কেন? লাইমলাইটে আসার জন্য কিছু না কিছু ভেলকিবাজী পাবলিকদিগকে গিলাইতে হয় বৈকি, তাই আমাদের আলেমগণ ও দলাদলি করিয়া হইলেও দলভারী করিবার কার্যে সর্বদা নিয়োজিত থাকে। আফসোস!! আমাদের আলেমগণ কি কেয়ামত নিয়া এক্সট্রিম হাদিসগুলো পড়িয়া দেখেন না? মনে কি চিন্তার উদয় হয়না? তাহারা নিজেরাই এক একজন কেয়ামতের আলামত প্রকাশের নিয়ামক হিসাবে কাজ করিতেছে।
রসুল স: সত্য বলিয়াছেন, কেয়ামতের আলামত প্রকাশিত হইয়াছে, এই হাদিসটাই তাহার প্রমাণ...
হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন,
"মানবজাতির মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন ইসলাম নামেমাত্র থাকবে, কোরান শুধুমাত্র লিখিত পান্ডুলিপি হয়ে থাকবে, মসজিদগুলো ভীষণ সুসজ্জিত হবে কিন্তু হেদায়েতের পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, আলেম-ওলামাগণ হবে আকাশের নীচে থাকা সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোকজন। তারা হবে মানুষের জন্য ফিৎনা।" [বায়হাকী]
আল মালহামা হল একটি যুদ্ধ
আল মালহামা হল একটি যুদ্ধ। একটি অত্যন্ত তীব্র ও ভয়ঙ্কর মহাযুদ্ধ। আল মালহীম হল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক যুদ্ধের সম্মীলনে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ। একটি দীর্ঘমেয়াদী সংঘাত। যা বছরের পর বছর ধরে চলবে। এটা হল অনেকগুলো ছোট যুদ্ধের সম্মীলনে একটি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ এবং রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, আল মালাহীম সংঘঠিত হবে মুসলিম এবং আর রোমানদের মধ্যে। কারা এই “রোমান”? রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম]-এর সময়ে “রোমান” বলতে কোন রাজনৈতিক সত্ত্বা বা শক্তিকে বোঝানো হতো না বরং একটি জাতিকে বোঝানো হতো সেই সময়ের রোমানরা ছিল – ইউরোপিয়ানরা সুতরাং “রোমান” নামটি প্রযোজ্য হবে ইউরোপ এবং এর বর্ধিত অংশগুলোর জন্য উত্তর আমেরিকা (আমেরিকা, কানাডা) ও অস্ট্রেলিয়া। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলছেন রোমান এবং মুসলিমদের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ চলবে, এবং এর নাম আল মালাহীম এবং এসব ঘটনাবলী সংঘঠনের সময়েই আল-মাহদীর আবির্ভাব ঘটবে এবং ঈসা বিন মারইয়াম [আলাইহিস সালাম] অবতরন করবেন এবং দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। এসবই ঘটবে আল-মালাহীমের সময়। সুবহান’আল্লাহ, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি পশ্চিমা বিশ্ব রোমানদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে এবং আল মালাহীমের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে, আর মুসলিমরা এখনো ঘুমাচ্ছে, আলোচনা আর শান্তির গালগল্প বিশ্বাস করে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
আল মালহামা...... শাইখ আনোয়ার আল আওলাকি (রহ:)
Friday, April 7, 2017
2004-5 সালের দিকে কোন এক পত্রিকায় পড়েছিলাম।
2004-5 সালের দিকে কোন এক পত্রিকায় পড়েছিলাম। শরীরের কোন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হলে, আগে মস্তিষ্কের নিউরণে সংকেত পাঠানো হয় তারপর আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ব্যাথা অনুভূত হয়। আর এখন বিজ্ঞান বলে শরীরের যে স্থানে আঘাত করা হয় সেই স্থানেই ব্যাথা অনুভুত হওয়ার পেইন সেল মজুদ রযেছে এবং আঘাত করার সাথে সাথেই ব্যাথা অনুভুত হয়।
এই বিষয়ে ড: জাকির নায়েক একটি ঘটনা বলেছিলেন, থাইল্যান্ডের এক প্রফেসর নাম সম্ভবত তাগাদা ওশান, তিনি শরীরের পেইন সেল নিয়ে গবেষনা করতেন। তিনি খেয়াল করেছিলেন পেইন সেল নিয়ে কোরআনে একটি আয়াত রয়েছে, আয়াতটি হচ্ছে (রেফা: মনে নাই, নিজের ভাষায় লিখছি এদিক ওদিক হতে পারে) জাহান্নাম থেকে তুলে হাড়ের উপর চামড়ার প্রলেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে, তারপর আবার জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে যেন জাহান্নাসের আগুন তোমরা ভালোভাবে আস্বাদন করতে পারো।
তিনি চিন্তা করছিলেন, কোরআন বলছে হাড়ের উপর চামড়া দিয়ে ঢেকে বারবার আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এ থেকে বুঝা যায় চামড়ার অভ্যান্তরে এমন কিছু রয়েছে যার কারণে বারবার আগুনে নিক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে। এই আবিষ্কারের ফলে পেইন সেল নিয়ে বিজ্ঞানের আগের ধারণা বাতিল হয়ে যায়। এরপর ডা: তাগাদা ওশান রিয়াদে কোন এক কনফারেন্সে উম্মুক্ত জনসভায় কালিমা পড়ে ইসলাম কবুল করেছিলেন।
সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞানের অনেক ধারণাই বাতিলের খাতায় নাম লেখায়, বরং ধ্রুব সত্য হয়ে সূর্যের ন্যায় যুগ যুগ ধরে আলো ছড়ায় সৃষ্ঠিকর্তার বানীগুলো।
দাজ্জালের জান্নাতে বাস করতে হলে
দাজ্জালের প্রবর্তীত ধর্ম অনুসরন করতেই
হবে। আর তা না হলে...........
আপনি ধর্মের আনুষ্টানিকতা পালন করতে
পারবেন শুধু রাষ্ট্র, অথনীতি, সমরনীতি, নারী
উন্নয়ন, সমাজ ব্যবস্থা, ধর্ম নিরেপক্ষতা,
আইন কানুন, গনতন্ত্র, রাজনীতি এসব নিয়ে মাথা
ঘামাতে পারবেন না। পারবেন না ইসলামের
এক্সট্রিম বিষয় মেনে চলতে। এসব বিষয়ে
আঙ্গুল তুলতে গেলেই কেল্লাফতে...।
শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পর্যায় নয়, সকল
রাষ্ট্রকেই দাজ্জালের নতুন ধর্মের উপর আমল
করতে হবে। নতুবা মৌলবাদী রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসী
রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করে রাষ্ট্রের অভ্যান্তরে
যুদ্ধ লাগানো হবে, তারপর তাদের অনুগত
পাপেটদের গদিতে বসিয়ে দেশের বারোটা
বাজানো হবে।
সুদী কারবার এই ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
ভিত্তি। সুতরাং সুদী লেনদেন ছাড়া অন্যকোন
সিস্টেম গ্রাহ্য করা হবেনা। তবে নামকাওয়াস্তে
ধর্মের নাম ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন-
ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী চিটার একাউন্ট ব্যাংক।
তবে শর্ত থাকে যে, পদ্ধতি অবশ্যই সুদী হতে
হবে চাই পিছনের দরজা হোক আর সামনের
দরজা।
ও হ্যাঁ দাজ্জালের এ ধর্মে নারী জাতিকে
অনেননক সম্মানিত করেছে। এতোটাই সম্মানিত
করেছে যে, শোবার খাটিয়া থেকে নামিয়ে তাদের
রাস্তার ফুটপাতে এনে দাড় করিয়েছে, পর্দার
আবরণ থেকে বের করিয়ে তাদের বিকিনি পরিয়ে
পুরুষের মনোচাহিদা পুরণের পণ্য বানিয়েছে।
এ ধর্মে আপনি দেখে থাকবেন যে, জীবনের
প্রতিটি ক্ষেত্রে সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য
কীরুপ তৎপরতা চালানো হচ্ছে, মানুষের পোশাক,
খাবার দাবারের সময় নির্ধারণ, শুয়া ও ঘুম থেকে
জাগা, জীবন পরিচালনা, বিবাহ কখন হওয়া উচিত,
সন্তান কয়জন জন্মদান করতে পারবেন,
বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডের নামে যৌন সম্পকের
প্রসার, কাজ কমের ধাঁচ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে
লোকজনদেরকে টেনে এ ধর্মে প্রবেশ করানো
হচ্ছে। শুধু কি তাই! ইসলামকে জীবনবিধান হিসাবে
পালন করতে চাইলে খড়কহস্তে আপনার ওপর
নেমে আসবে জুলুম অত্যাচার।
কেয়ামতের আনুষ্ঠানিকতা রসুল স: এর যুগ থেকেই শুরু হয়ে গেছে। যদি মনে করেন, ধুর!! কেয়ামত আসতে অনেননক দেরী, তার চেয়ে বরং নাকে তৈল দিয়ে ঘুমায়। তাহলে নিচের হাদিস দুটি পড়ুন এবং ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। আপনি কোথায় আর আপনার কেয়ামত কোথায়............
জয়নব বিনতে জাহাশ (রাঃ) বলেন: “ … একদিন নবী (সাঃ) ভয়ার্ত অবস্থায়
আমাদের নিকটবর্তী হলেন এবং বললেন: আল্লাহ ব্যতীত কারো উপাস্য হবার অধিকার নেই! আরবদের দুর্ভাগ্য, এক মহা অকল্যাণ তাদের কাছে আসছে।
(আজ) ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রাচীরে একটি ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। নবী (সাঃ) তাঁর তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে একটি বৃত্ত তৈরী করে দেখালেন।”
আমি বললাম, ‘হে নবী (সাঃ) আমাদের ভিতর সৎলোক থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো?’ নবী (সাঃ) বললেন, “হ্যাঁ যখন মন্দ লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে (জঞ্জাল, মন্দ, খারাপ আচরণ, যৌন স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি পৃথিবীকে ঢেকে ফেলবে)।”
[সহীহ বুখারী]
নবী (সাঃ) একবার তাঁর তর্জনী এবং মধ্যমা আঙ্গুলকে একত্র করেন এবং
ঘোষণা করেন:
আমি এবং ইয়াওম আল-কিয়ামাহ এই দু’টির ন্যায়।
[সহীহ মুসলিম]
বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত। নুতন নুতন আবিষ্কারে ছেয়ে যাচ্ছে গোটা পৃথিবী। মাঝে মাঝে ভাবি বিজ্ঞানের চরম উন্নতির শিখরে উঠা এই বিজ্ঞান জগৎটা 1400 বছর আগে কেন ছিলনা, কিংবা 800 বছর আগেও থাকতে পারতো, বড়জোর 200 বছর আগে হলেও মানা যেত। কিন্তু হঠাৎ উনিশ শতকের পর থেকে বিজ্ঞান যেভাবে তার সমস্ত সৃষ্টি উদগীরণ করছে, তাতে কি ইঙ্গিত বহন করে? আমার মনে হয়, এ সব্ই Divine Plan, কোন এক মহা-প্রতিভাকে বরণ করে নেওয়ার এন্তেজাম। বিজ্ঞান জগৎ তার সব আবিষ্কারই উগলে দিচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ট প্রতারককে বরণ করে নেওয়ার জন্য যেন সে বিজ্ঞানের উপর ভর করে গোটা মানবজাতিকে সম্মোহিত করে রাখতে পারে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ মানুষ তার আবিষ্কৃত উপাদানে সম্মোহিত।
আফসোস!! সারাবিশ্বের মুসলিম বর্তমান দাজ্জালের আবিষ্কৃত বিভিন্ন বস্তুগুলোকে আল্লাহর রহমত ভেবে বিরাট ভুলের রাজ্যে বাস করছে।
প্রশ্ন : শায়খ কেন রাশিয়ার সাথে মুসলমানদের জোট বাধতে জোর দিয়া থাকেন যেখানে সিরিয়ার সুন্নী মুসলমানরা রাশিয়াকে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে, যেই রাশিয়া কিনা সিরিয়ার জুলুমবাজ বাশার সরকারকে সাহায্য করে ?
উত্তর : সিরিয়াতে গত ষাট বছর বা তাহারও বেশী সময় যাবত কি হইতেছে তাহা আমি ভালোভাবে অবগত আছি । এই ব্যাপারে আমার নিকট কাউকে লেকচার দিতে হইবে না । সেই ইতিহাস আমার জানা আছে । কিন্তু যাহারা সৌদী আরব, কাতার আর তুরষ্ক থেকে অস্ত্র নিয়া সিরিয়ার বাশার সরকারের জুলুম থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধ করিতেছে এমন কোন দলের সাথে আমি নাই । বর্তমানে সিরিয়ার বাশার সরকারের বিরুদ্ধে যাহারা যুদ্ধ করিতেছে তাহাদের অধিকাংশই সৌদী আরব এবং কাতার থেকে বেতন পাইয়া থাকে । এদেরকে প্রশিক্ষন দিয়া এবং অস্ত্র দিয়া সিরিয়ায় হামলা করিবার জন্য পাঠানো হয় । আল্লাহ যেন এমন দিন দেন যখন একই পদ্ধতিতে মানুষ সৌদী আরবেও হামলা করিবে । কাতার এবং সৌদী আরব হইল ইজরাঈলপন্থী যায়োনিষ্ট দেশ, হ্যাঁ নিশ্চয় । আল্লাহ কোরআনে বলিয়াছেন, “যাহারা (ইহুদী-খ্রীষ্টান) তাহাদের বন্ধুরূপে গ্রহন করিবে তাহারা তাহাদের মধ্যে গণ্য হইবে” । কোরআন বলিতেছে তোমরা আর মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত নও । সিরিয়ার সরকারবিরোধীদের মধ্যে যাহারা দাবী করেন যে তাহারা সৌদী আরব, কাতার, তুরষ্ক বা যায়োনিষ্টদের সাথে সম্পর্ক রাখেন না, তাহলে আপনারা অস্ত্র পাইয়া থাকেন কোথা হইতে ? আমরা সিরিয়ার সেনাবাহিনী থেকে অস্ত্র কাড়িয়া নেই….হা..হা..হা….খুবই সুবিধাজনক উত্তর, খুবই সুবিধাজনক উত্তর । আপনারা যদি কাহারো নিকট হইতে সাহায্য না ও নিয়া থাকেন, তথাপি এই সময়ে আপনারা জুলুমের বিরুদ্ধে আপনাদের যুদ্ধ শুরু করিবেন না । কেননা ইহা একেবারেই ভূল সময় । আপনারা বলির পাঠা হিসাবে ব্যবহৃত হইবেন ।
আপনারা যেটুকু সফলতা লাভ করিবেন, তাহা দ্বারা উপকৃত হইবে তাহারা (মুসলমানদের শত্রু যায়োনিষ্টরা) । কাজেই আসাদ সরকারকে উৎখাত করিবার জন্য দ্বিতীয় আরব বসন্তের এই সময়টা বাছাইয়া করিয়া নেওয়া আপনাদের জন্য খবুই বোকার মতো কাজ হইবে, খুবই বোকার মতো কাজ হইবে । কাজেই আসাদ সরকারকে উৎখাতের জন্য আপনারা অন্য কোন সময় বাছাই করিয়া নিন, এখন নয় ; যখন সৌদী আরব, কাতার এবং যায়োনিষ্টরা মানুষকে প্রশিক্ষন দিয়া, টাকা-পয়সা দিয়া, অস্ত্র দিয়া তুরষ্কে পাঠাইতেছে (সীমান্ত অতিক্রম করিয়া সিরিয়াতে ঢুকিয়া যুদ্ধ করিবার জন্য) । সুতরাং অন্য কোন সময় বাছাই করিয়া নেন । সিরিয়া সরকারের জুলুম অত্যাচারের কথা আমি জানি । কিন্তু জুলুম অত্যাচার তো কেবল সিরিয়াতেই নয়, ইহার চাইতেও বেশী জুলূম অত্যাচার সৌদী আরবে আছে । তাহাদের মধ্যে কয়জন আছে যে সৌদী আরবকে মুক্ত করিতে জিহাদে যাইবে ? কয়জন ? তাহারা কখনও তাহা করিবে না, কখনও না, কখনও না, কখনও না । তাহলে ইহা কি ধরনের জিহাদ হইল ? তাহারা এমনকি ইহা কল্পনাও করে না । মক্কা-মদীনা হইল ইসলামের প্রাণকেন্দ্র । হজ্জ বর্তমানে যায়োনিষ্টদের দখলে আছে । ইহা তো আসাদের চাইতেও খারাপ অবস্থা । তাহাদের মধ্যে কয়জন প্রস্তুত আছে সেীদী আরবের বিরুদ্ধে জিহাদ করিতে যাইবে ? একজনও না । কয়জন আছে কাতারের বিরুদ্ধে জিহাদ করিতে যাইবে ? একজনও না । কয়জন আছে তুরষ্কে জিহাদ করিতে যাইবে ন্যাটোর হাত থেকে মুক্ত করিবার জন্য ? একজনও না । কিন্তু আপনারা আসাদ সরকারকে উৎখাত করিতে চান । আমি সিরিয়ার আসাদ সরকারের সমর্থক নই ।
কিন্তু আমি আমাকে বলির পাঠা বানানোর সুযোগ কাউকে দিব না , যাহারা এই সময়ে আসাদ সরকারকে উৎখাত করিতে চাহেন । কেননা আমি জানি আসাদ সরকারের পতন হইলে সিরিয়া হইবে নতুন লিবিয়া (চৌদ্দ টুকরা) । আপনারা যদি এমনটা চাহেন তবে তাহাই পাইবেন । কিন্তু আমরা তাহা চাই না, আমরা তাহা চাই না । আমরা চাই সেই দিনটি শীঘ্রই আসিবে যেদিন ইমাম মাহদী (আঃ) আপনাদের শহর দামেষ্কে আসিবেন, দাজ্জালও দামেষ্কে আসিবে, হযরত ঈশা (আঃ) দামেষ্কে ফিরিয়া আসিবেন । এই জন্যই দামেষ্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আসাদ সরকারের যখন পতন হইবে, আপনার যাহাদের বলেন মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু সেই রাশিয়াই হইল কোরআনে বর্ণিত রোম । আমি বলিতেছি কোরআনে বর্ণিত রোম হইল অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের দেশ রাশিয়া । কাজেই প্রথমে প্রমাণ করেন যে আমার কথা ভুল । প্রমাণ করেন যে ভ্যাটিকান সিটির রোমান ক্যাথলিক চার্চই হইল রোম অথবা ইঙ্গ-মার্কিন জোটই হইল রোম । রোম হইল প্রাচ্যের খ্রীষ্টান জগত অথবা পাশ্চাত্যের খ্রীষ্টান জগত ? পবিত্র কোরআনে রোমের কথা আছে এবং আছে প্রশংসার সাথে । আর মহানবী (সাঃ) বলিয়াছেন, “(আখেরী জামানায়) তোমরা রোমের সাথে জোট বাধিবে” । সুতরাং আপনারা রাশিয়াকে মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু মনে করিতে থাকুন, আমরা আপনাদের সাথে নাই । নাস্তিক সৌভিয়েত ইউনিয়ন আর অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদের দেশ রাশিয়াকে এক মনে করিবেন না । সৌভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে রাশিয়া পরিবর্তিত হইয়া যাইতেছে, তাহারা অর্থোডক্স খ্রীষ্টবাদে ফিরিয়া যাইতেছে । তুর্কী সুলতানগণ জিহাদের নামে সাতশ বছর রাশিয়ান অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের ওপর যেই বিরামহীন জুলুম অত্যাচার করিয়াছিল এবং ফলস্রুতিতে তাহাদের মনে মুসলমানদের প্রতি যে তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হইয়াছিল, তাহাও বর্তমানে দূর হইয়া যাইতেছে । কেননা অর্থোডক্স খ্রীষ্টানগণ বুঝিতে পারিতেছেন যে, তুর্কী সুলতানদের দ্বারা সংঘঠিত জুলুম অত্যাচারের জন্য ইসলাম বা মুসলমানগণ দায়ী নহেন । অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদের বড় বড় স্কলারগণ আগামী মাসে মস্কোর ষ্টেট ইউনিভার্সিটিতে লেকচার দেওয়ার জন্য আমার মতো একজন মুসলিম আলেমকে দাওয়াত দিয়াছেন ইহাই তাহার প্রমাণ । রাশিয়াও বর্তমানে আমেরিকার মোকাবেলায় টিকিয়া থাকিতে মুসলমানদের বন্ধুত্ব কামনা করিতেছে । বিশ্বনবীর (সাঃ) ভবিষ্যতবাণী বাস্তবায়ন করিতে প্রথমে যেই মুসলিম দেশটি রাশিয়ার সাথে জোট বাধিয়াছে সেটি হইল ইরান । বর্তমানে পাকিস্তান, সৌদী আরবসহ আরো অনেক মুসলিম দেশই রাশিয়ার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াইতে বাধ্য হইতেছে ।
মূল - আল্লামা ইমরান নজর হোসেন
অনুবাদ - বশীর মাহমুদ ইলিয়াস
Bogus jihad in syria লেকচারের অনুবাদ
Friday, March 24, 2017
অনেকদিন আগে তাসলিমা নাসরিনের একটা লেখায় পড়েছিলাম, হরমোন যতদিন শরীরকে কামড়াবে ততদিন পর্যন্ত পুরুষ নারী, নারী পুরুষকে খুঁজতে থাকবে। শরীরে হরমোন শেষ ভালোবাসাও শেষ। এখনকার প্রেম পিরিতির ক্ষেত্রে তা অবশ্য সত্য, এসব প্রেমে দায়িত্ববোধ থাকেনা বিধায় হরমোনাল প্যারামিটার একটু উপরের দিকেই থাকে বেশি। দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রেমের ক্ষেত্রে হরমোনাল ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া প্রাধান্য পেলেও তসলিমা (যে সংসারের স্বাদ পাইনি কোনদিন, সে ভালোবাসার কোন কচুটা বুঝবে) হয়তো উপলব্ধি করতে র্ব্যথ হয়েছে, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, দায়িত্ব থেকে যে ভালোবাসার সৃর্ষ্টি হয় তা প্রথমদিকে হরমোনাল হলেও পরবর্তীতে সে ভালোবাসা অভ্যাসে পরিনত হয়। তাইতো এমন অনেক কাপল দেখা যায়, হরমোন শেষ হয়ে গেলেও, বৃদ্ধ হয়ে গেলেও তাদের সংসারে ভালোবাসার খুনসুটি আজীবন লেগেই থাকে।
রসুল স: একদিন সাহাবীদের নিয়ে দাজ্জালের বর্ণনা করতেছেন, বর্ণনা শুনে সাহাবীরা বিচলিত হয়ে বললেন ইয়া রসুল স: আপনি দাজ্জাল সম্পর্কে এমন ভাবে বলছেন যেন মনে হচ্ছে দাজ্জাল আমাদের ঘরের আশেপাশে, খেজুরের বাগানে অবস্থান করতেছে ।
ভাবা যায়, 1400 বছর আগে সাহাবীরা দাজ্জাল নিয়ে চিন্তিত, বিচলিত ছিল। দাজ্জালের ফিতনা হতে সুরক্ষায় থাকার জন্য সাহাবীরা এবং রসুল স: আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতেন। আর আমরা তামাম দুনিয়ার মুসলিমরা 1400 বছর পরে 2017 তে এসে নিম্চিত হয়ে বসে প্রমাদ গুনছি, ধুর.. দাজ্জাল আসতে আরো অনেক বছর বাকী, এসব বিষয় নিয়ে এখন চিন্তা করে লাইফটা হেল করার দরকার কি? তার চেয়ে বরং নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জান্নাত লাভের সুখপাযরা উড়ায়।
শয়তান যে অস্থিত্ববান, শয়তান আছে তা স্বীকার করবেনা কোনদিনই এ্ই বিজ্ঞান সমাজ। কিন্তু আড়ালে বিজ্ঞানের জঠাধারী জায়োনিস্টরা নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য শয়তানের পুজা ঠিকই করে যাচ্ছে। ইশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি নেই এই নিয়ে বিজ্ঞানকে ঢাল বানিয়ে বিজ্ঞানের ধ্বজভংগরোগীরা বারবার প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, কিন্তু একটু ডিপলি চিন্তা করলে পরিষ্কার হয়ে যায় শয়তানের অস্তিত্ব নিয়ে এখনো বিজ্ঞান সমাজ টুঁ শব্দটি উচ্চারণ করেনি, কোন বিজ্ঞানি শয়তানের অস্থিত্ব নিয়ে এখনো সাইন্স জার্নালে কোন কলাম লেখেনি। কিন্তু ইশ্বরের কথা আসলেই তাদের পশ্চাদে চুলকানি ধরে যায়, মোটা মোটা বই লিখে ইশ্বরকে তুলোধুনো করতে ছাড়েন না। ইশ্বর নিয়ে যতটা না বিতর্ক তার একাংশও শয়তানকে নিয়ে হয়েছে কিনা সন্দেহ। আমার মনে হয় বর্তমান বিজ্ঞানের নেগেটিভ ইনভেনশন গুলো কন্ট্রোল করে শয়তান, যা বর্তমান ডিজেস্টার উইপেনের বিস্তার দেখলেই বুঝা যায়। শয়তান আড়ালে থেকে বিজ্ঞানকে হাইলাইট করে নিজের মতাদর্শ প্রচার করে যাচেছ প্রতিনিয়ত। বর্তমান জামানায় শয়তানকে সফল এক ক্যারেক্টার বলা যায়।
অভিজিতের মতো অসাম্প্রদায়িক কুলাঙ্গাররা ইসলামে মর্ষাকাম আছে বলে ইসলামের কুৎসা রটিয়েছে বহুবার (আমি এখনো পর্যন্ত দেখিনি, ইসলামে কোথায় মর্ষাকাম নিয়ে বলা আছে) । বাঙ্গালী নাস্তিককুল ইসলামকে মর্ষাকামের সাথে জড়িয়ে বেশ কয়েকবার অনলাইন গরম করতে দেখেছি। কিন্তু এসব অসাম্প্রাদায়িক দুপেয়ে জানোয়ারগুলো চিন্তা করে দেখেনা, এই যে হোলি উৎসব পালন করা হচ্ছে উৎসবটা আসছে কোথথেকে? সার্বজনীন এই রং খেলির উৎস কি? হোলি উৎসব মূলত রাধা কৃষ্ণের মর্ষাকামের ফসল। কিন্তু চেতনায় চ্যাতিত অসাম্প্রাদায়িক গোষ্টি এই নিয়ে টুঁ শব্দ করবেনা, পাছে তাদের চেতনার অন্ডকোষে আঘাত লাগে। কিছুক্ষন আগে একটা ভিডিও তে দেখলাম, ঢাকায় রং খেলির নাম দিয়ে কিভাবে হিজাব পরিহিতা মুসলিম বোনদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে নব্য বখাটে কৃষ্ণরা। আফসোস লাগে মুসলিম পরিবারের সন্তানরাও এসব নোংরা উৎসব পালন করছে।
হোলি যে মর্ষাকাম থেকে উদ্বুধ তার প্রমান......কামশাস্ত্র পারদর্শী কৃষ্ণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা রাধিকার অঙ্গ-প্রতঙ্গ আলিঙ্গন করত: অষ্টবিধ শৃঙ্গার করিল, পুর্নবার সেই বক্রলোচনা রাধিকাকে করিয়া হস্ত ও নখ দ্বারা সর্বাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করিল (Point to be noted এটিই হচ্ছে মর্ষাকাম)।
শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক নিষ্টুরভাবে শরীর ক্ষত-বিক্ষত (মর্ষাকাম) হওয়ায় এবং সারা রাতভর যৌন নিপীড়নের (মর্ষাকাম) কারণে প্রভাতকালে দেখা গেল রাধিকার পরিহিত বস্ত্র এত বেশী রক্ত রঞ্জিত হয়ে পড়েছে যে, লোক লজ্জায় রাধিকা ঘরের বাইরে আসতে পারছে না। তখন শ্রীকৃষ্ণ দোল পুজার ঘোষনা দিয়ে হোলি খেলার আদেশ দেয়। সবাই সবাইকে রঙ দ্বারা রঞ্জিত করতে শুরু করে। তাতে রাধিকার বস্ত্রে রক্তের দাগ রঙের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। সেই থেকে হোলি খেলার প্রচলন শুরু হয়।"
আত্ম উপলব্ধি- ৩
বর্তমান পারিপার্শ্বিক অবস্থাটা এতটাই ঘোলাটে হয়ে গেছে যে, কোনটা সঠিক কোন বেঠিক নির্ণয় করতে রীতিমতো ঘোলা পানি খেতে হয়।
আপাত দৃষ্ঠিতে দেখলে যেসব বিষয় সঠিক মনে হয়, একটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায় বিষয়টি ১৮০ ডিগ্রী কোণে উল্টো।
ফিতনা এতটাই ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে, আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা নিজ অনুগ্রহে পথ না দেখালে সিরাতুল মুস্তাকিম পাওয়াটা
আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। হে গাফুরুর রহীম সিরাতুল মুস্তাকিমে অটল রাখুন, সহজ সরল পথ দেখান।
হালের মৌলানারা আউলিয়াদের কেরামত, নবীদের
মুজিজা নিয়ে ওয়াজ নসীহত করতে করতে
শ্রোতাদের চোখের পানি নাকের পানি এক করে
ফেলেন। কিন্তু আফসোস,, সকল আউলিয়ার
কেরামত, সকল নবী রাসুলদের মধ্যে সংগঠিত
মুজিজার চেয়ে আমাদের প্রিয় রাসুলুল্লাহ স:
এর ১৪০০ বছর আগের একটি মুজিজা এই
বর্তমান যুগেও আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে
ধুলাবালির আস্তরনে পড়ে আছে সেদিকে
কারোরই হুঁশ নেই। রসুল স: সকল মুজিজার মাঝে
সর্ব উত্তম মুজিজাটি হচ্ছে পবিত্র আল
কুরআন, যা এখনও মানবজাতির মাঝে বিরাজমান।
আর আমাদের সুরেলা কন্ঠের রাতের কোকিলরা
আছে, কে সাগরের পানি বদনায় ভরেছে, মায়ের
পেঠ থেকে কে কাকে লাথি মেরেছে, কোন
আউলিয়ার কুকুর কার বাঘ খেয়েছে এসব
আজগুবি কাহিনী নিয়ে।
রসুল স: এর 63 বছর জীবনে অনেক মুজিজা ছিল,
সংঘঠিত হয়েছিল, তা অবশ্যই আমরা বিশ্বাস
করি। এসব মুজিজা বয়ানের ক্ষেত্রেও
প্রাসঙ্গিকতা প্রয়োজন, তা না হলে
দুুদোল্যমান মনগুলো আরও বেশি সংশয়ে পড়ে
যাবার সম্ভাবনা আছে।
রসুল স: দোয়া করা বর্তমান সেই শামদেশের অবস্থা এখন কিরুপ? আরব বসন্তের নাম দিয়ে শামদেশে গত ৫ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ অফিসিয়ালী এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম। গোটা বিশ্বের বর্তমান অবস্থা খুবই বেগতিক, কোন সময় মালহামা/৩য় বিশ্ব যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে যায় আল্লাহ মালুম। হাদিসে আছে, সিরিয়া আক্রান্ত হলে গোটা পৃথিবীর অবস্থাও খারাপ হতে থাকবে। বর্তমান সিরিয়ার অবস্থা দেখে তো তাই মনে হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ নিয়ে শাহ নেয়ামত উল্লাহর ভবিষ্যবাণীও সত্য হওয়ার পথে (আল্লাহ আলাম), রমযান মাসও আসি আসি, প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়েও সরকার এক পায়ে খাড়া, কি জানি কোন সময় শীন আর নুন আদ্যক্ষরের ভন্ডটি দু ঈদের মাঝখানে পাপ চুক্তিটি করে ফেলে।
♦ ♦ গাজওয়াতুল হিন্দ ♦ঃ- হযরত মোহাম্মদ (সা) - এর ভবিষ্যতবাণী ♦ ♦
.
:
গাজওয়াতুল হিন্দ হল রাসূলুল্লাহ (সা) কর্তৃক ভবিষ্যদ্বাণীতে বর্ণীত ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম ও মুশিরকদের মধ্যে ভবিতব্য চূড়ান্ত যুদ্ধ। “গাযওয়া” অর্থ যুদ্ধ, আর “হিন্দ” বলতে এই উপমহাদেশ তথা পাক-ভারত-বাংলাদেশসহ মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানকে বুঝায়। এবং বর্তমানে এই অঞ্চলের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আমাদেরকে সেই গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মুসলিমরা গাযওয়া ই হিন্দ নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করলেও ইহুদি মুসরিকরা কিন্তু বিস্তর গবেষণা করছে। গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কিত কিছু হাদিস নিচে দেওয়া হল, উল্লেখ্য যে হাদিসগুলোকে সহিহ(বিশুদ্ধ) হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
***
হযরত সা্ওবান (রাঃ) এর হাদিস- নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আজাদকৃত গোলাম হযরত সা্ওবান (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন। একটি হল তারা, যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আরেক দল তারা যারা ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে’। (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২) ***
আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের থেকে হিন্দুস্থানের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। কাজেই আমি যদি সেই যুদ্ধের নাগাল পেয়ে যাই, তাহলে আমি তাতে আমার জীবন ও সমস্ত সম্পদ ব্যয় করে ফেলব। যদি নিহত হই, তাহলে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হব। আর যদি ফিরে আসি, তাহলে আমি জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়রা হয়ে যাব”। (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)
***
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/ বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)। এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আঃ) কে শাম দেশে (বর্তমান সিরিয়ায়) পাবে”। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, “আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ)! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী”। বর্ণনাকারী বলেন যে, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘খুব কঠিন, খুব কঠিন’। (আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯) - [মুসনাদে আহমাদ, আস সুনান আল মুজতাবা ,আস সুনান আল কুবরা, আল মজাম আল অস্ত, আল জাম্য আল কাবীর]
*----*
রাসুলুল্লাহ(সঃ) এর কথা অনুযায়ী খোরাসান (বর্তমান আফগানিস্তান) থেকে কালিমাখচিত কালোপতাকাধারীদের উত্থান এবং তাদের কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া, পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ভারতের কাশ্মীর সীমান্তে ৭ লক্ষ সেনা মোতায়েন, পাক-ভারত-বাংলাদেশের হকপন্থী ইসলামী দলগুলোর আলোচনায় উঠে আসা, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ভারতের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং মুসলিমদের নির্যাতন নিয়ে ভারতের ভেতরে মুসলিমদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ, সেভেন সিস্টারস তথা ভারতের ৭ টি অঙ্গরাজ্যের স্বাধীনতার দাবি নিঃসন্দেহে গাজওয়াতুল হিন্দ এর ইঙ্গিত বহন করে।
এই সময় হইত পাক-ভারত-বাংলাদেশের মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা আলাদা হয়ে যাবে। তারা হয়তো কাফিরদের পক্ষে যোগ দিবে অথবা পালিয়ে বেড়াবে। এবং এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হবে এবং তারা বায়তুল মুকাদ্দাস (বর্তমান ফিলিস্তিন) এ গিয়ে ঈসা (আঃ) এর সাথে মিলিত হবে এবং খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করবে।
:
আল্লাহ-সুবহান ওয়া তা'লা বলেন, হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। (Al- Anfaal: 65)
:
আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (Al-Baqara: 190)
:
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করছে আল্লাহ্ তাদের ওয়াদা করছেন যে, তিনি নিশ্চয়ই তাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের যারা ছিল এদের পূর্ববর্তী, আর অবশ্যই তিনি তাদের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের ধর্ম যা তিনি তাদের জন্য মনোনীত করেছেন, আর নিশ্চয়ই তাদের ভয়-ভীতির পরে তাদের জন্যে বদলে আনবেন নিরাপত্তা। তারা আমারই এবাদত করবে, আমার সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করবে না। আর যে কেউ এর পরে অকৃতজ্ঞতা দেখাবে -- তাহলে তারা নিজেরাই হচ্ছে সীমা-লংঘনকারী। (An-Noor: 55)
মালহামা শুরু হওয়ার অনেকগুলো সমীকরণের মধ্যে, নিচের সমীকরণটি খুবই সহজবোধ্য।
------
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হইবে সিরিয়াতে
বিশ্বনবী (সাঃ) আজ থেকে চৌদ্দশত বছর পূর্বে ভবিষ্যতবাণী করিয়া গিয়াছেন যে, মালহামা (মহাযুদ্ধ অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ) অনুষ্টিত হইবে সিরিয়ার আমুক শহরে (কেউ কেউ মনে করেন আমুক বলিতে মহানবী (সাঃ) আলেপ্পো শহরকে বুঝাইয়াছেন) । বর্তমানে আমেরিকান জোট এবং রাশিয়ান জোট তাহাদের অস্ত্রশস্ত্র এবং সৈন্যসামন্ত সিরিয়া এবং তাহার আশেপাশের দেশগুলোতে আনিয়া মওজুত করিতেছে । নবী করীম (সাঃ) আরো ভবিষ্যতবাণী করিয়াছেন যে, এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের শতকরা ৯৯ জন নিহত হইবে । কাজেই ইহাতে বুঝা যায় যে, সেই যুদ্ধটি হইবে পারমাণবিক যুদ্ধ অর্থাৎ ইহাতে অগণিত এটম বোমা নিক্ষিপ্ত হইবে । কেননা সাধারণ যুদ্ধে এতো বেশী মানুষ কখনও নিহত হয় না । নবীজি (সাঃ) কেবল বিশ্বযুদ্ধের কথাই বলেন নাই, ইহার কারণ সম্পর্কেও ভবিষ্যতবাণী করিয়া গিয়াছেন । তিনি বলিয়াছেন যে, ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদীর তলদেশ থেকে একটি সোনার খনি বাহির হইবে এবং লোকেরা তাহার দখল নিয়া যুদ্ধে লিপ্ত হইবে । কাজেই আমরা মনে করি মহানবী (সাঃ) সোনার খনি বলিতে তেলের খনিকে বুঝাইয়াছেন অর্থাৎ তেলভিত্তিক অর্থাৎ পেট্টোডলার ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা । আমেরিকান জোট চাহিতেছে তাহাদের প্রতিষ্টিত পেট্টোডলার ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা টিকাইয়া রাখিতে । অন্যদিকে রাশিয়ান জোট চাহিতেছে পেট্টোডলার ভিত্তিক বৈষম্যমূলক অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করিতে । এজন্য রাশিয়া-চীন-ভারত-ব্রাজিল-দক্ষিন আফ্রিকা মিলিয়া তৈরী করিয়াছে নতুন ব্যাংক ব্রিকস (BRICS) । সুতরাং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূল কারণ ইউক্রেন বা সিরিয়া ইস্যু নয় বরং ইহার মূল কারণ হইল ব্রিকস (অর্থাৎ পেট্টোডলার ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা টিকাইয়া রাখা বা সহজ কথায় তেলের খনি ) ।
মূল - মাওলানা ইমরান নজর হোসেন
অনুবাদ – বশীর মাহমুদ ইলিয়াস
সাবধান হয়ে যান !!! ইদানীং দেখা যাইতেছে অনেকেই দুই-চারটা বাংলা কিতাব পড়ে ধর্মীয় ব্যাপারে মতামত/ফতোয়া দিতে থাকেন। অনেকে কথায় কথায় সামান্য মতের অমিল হইলেই অন্যকে কাফের-মোশরেক ইত্যাদি ঘোষণা করেন। এটা যে কত বড় বিপজ্জনক কাজ এবং মহাপাপের কাজ, তার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারনাও নাই। হাদীসে বলা হয়েছে, “মানুষের ভুল/বেফাস/অনুচিত কথা/মতামত/ফতোয়া/মন্তব্যের জন্য আল্লাহ্ তা’য়ালা কখনও কখনও কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর স্থায়ী অসন্তুষ্টি লিখে দেন এবং তাদেরকে এমনভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে যে, সত্তর বছর পর্যন্ত কেবল নীচের দিকেই নামতে থাকবে”। যেই ওমর ফারুক (রাঃ)-কে বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে কোন নবী আসলে তিনি হতেন ওমর (রাঃ), যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে না বলে সেই ওমর (রাঃ) মতামত/ফতোয়া দিলে আবুবকর সিদ্দিক (রাঃ) তাকে ভুল বলে ঘোষণা করেন এবং ওমর (রাঃ) তা মেনে নেন। ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) বেনামাজীকে সহীহ হাদীস অনুযায়ী কাফের ফতোয়া দিলে ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) যুক্তি দিয়ে তার ফতোয়াকে ভুল প্রমাণ করেন এবং ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) তা মেনে নেন। ইমাম সুফিয়ান সওরী (রহঃ)-এর ফতোয়াকে ভুল প্রমাণ করে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) সংশোধন করে দিয়েছেন। ইমাম মালেক (রহঃ) কোন ব্যাপারে মতামত/ফতোয়া দেওয়ার পরে যদি জানতে পারতেন যে, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এই ব্যাপারে অন্য রকমের ফতোয়া দিয়েছেন, তখন তিনি নিজের ফতোয়া বাতিল করে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মতামত/ফতোয়া অনুযায়ী আমল করার জন্য লোকদেরকে বলে দিতেন। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) অনেক ফতোয়াকে ভুল বলে প্রত্যাখ্যান করতেন তাঁর প্রধান দুই শিষ্য ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) এবং ইমাম মোহাম্মদ (রহঃ)। ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ) বলেছেন যে, অন্তত এক লক্ষ হাদীস যার সনদসহ মুখস্ত নাই, ধর্মীয় ব্যাপারে মতামত/ফতোয়া দেওয়ার তার কোন অধিকার নাই এবং তাকে সকল ব্যাপারে এমন একজন আলেমের মতামত অনুযায়ী চলতে হবে যার অন্তত এক লক্ষ হাদীস সনদসহ মুখস্ত আছে। ইমাম মালেক (রহঃ) কামনা করতেন যে, তার প্রতিটি মতামত/ফতোয়ার জন্য যদি একটি করে বেত্রাঘাত করে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দিতেন, তবে কতই না ভালো হতো। এখন ভেবে দেখুন, উপরের ঐসব মহাজ্ঞানীদেরও যদি ভুল হতে পারে, তবে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মতামত/ফতোয়ায় ভুল হওয়া কতো সহজ ! আর আল্লাহ্ যদি ক্ষমা না করেন, তবে তার জন্য যে শাস্তি ভোগ করা লাগবে তা কল্পনাতীত !!
Comment of Bashir Mahmud Ellias
ইয়াজুজ মাজুজ চেনার সবচেয়ে সহজ এবং অব্যর্থ ১০১টি নয় ১টিই উপায়........
পশ্চিমা খ্রিস্টানরা এক অদ্ভুত জিনিস করে বসে যা পৃথিবীর ইতিহাস আগে কখনো কেউ দেখেনি। সেটা হলো ইহুদি-খ্রিস্ট মিত্রতা। ইহুদিরা চিরকাল খ্রিস্টানদের ভ্রান্তবাদী বলে এসেছে এবং খ্রিস্টানরা ইহুদিদের নিজেদের ঈশ্বর হত্যাকারী বলে এসেছে। তারা পরষ্পরের শত্রু ও পরষ্পরকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে এসেছে। নিজেদের বিষয়কে যথার্থ প্রমাণ করতে বাগবিতণ্ডা করে এসেছে। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সামনেও তারা পরষ্পরের বিরুদ্ধে বাগবিতণ্ডা করেছে। তারা কখনো বন্ধু ছিল না! কিন্তু পশ্চিমা খ্রিস্টানরা ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইহুদিদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। ভ্যাটিকান পোপ ঘোষণা করে,ইহুদিদের ঘৃণা করা যাবেনা, দায়ী করা যাবেনা। বরং তাদের সাথে মিলিত হয়ে পবিত্র ভূমিতে ইহুদিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। একে বলে “যায়োনিজম” যখন কিছুসংখ্যক ইউরোপীয় খ্রিস্টান ও কিছুসংখ্যক ইউরোপীয় ইহুদি মিলে ইহুদি খ্রিস্ট যায়োনিস্ট এলায়েন্স গঠন করে যার প্রধান লক্ষ্য ছিল পবিত্র ভূমি বায়তুল মুকাদ্দাস বা ফিলিস্তিন দখল করা। পবিত্র কোরানের ভাষ্য অনুযায়ী, এই যায়োনিস্টরাই হলো ইয়াজুজ মাজুজ যারা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে পশ্চিম রুম বা পশ্চিমা খ্রিস্টানদের সাথে মিশে যায় আর ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করে বনী ইসরাইলিদের সাথে ১৩ তম গোত্র হিসেবে মিশে যায়।..... হুদহুদের চিঠি।
দাজ্জালের উড়ন্ত গাধা
#দাজ্জাল এর উড়ন্ত গাধার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে আমরা নিজেরাই গাধা হয়ে যাচ্ছি
দাজ্জাল নিয়ে কোন কথা বললে কেউ কেউ এমন ভাব দেখান যেন আমি অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছি, বিশেষ করে আলেম সমাজ। তাদের অনেকেই দাজ্জালের উড়ন্ত গাধার অপেক্ষা করছেন।
দাজ্জাল এর উড়ন্ত গাধার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শায়খ্ ইমরান নযর হোসেন বলেন:
"দাজ্জাল আসবে গাধায় চড়ে। গাধাটি মেঘের মতো দ্রুত ভ্রমন করবে। গাধাটির কান দুটি চওড়া এবং প্রসারিত থাকবে।
উড়ন্ত গাধা, যার কান দুটি চওড়া এবং প্রসারিত? দাজ্জাল এই গাধার ওপর চড়ে আসবে। আমি এই হাদীসের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছিলাম যে, গাধাটি চলে এসেছে।
আমি যখনই মালয়শিয়ায় আসি, আমাকে ঐ গাধার ওপর চড়েই আসতে হয়। এখন আর জাহাজে আসা যায় না। এগুলো তারা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু ক্রুজ লাইনার রেখেছে যেখানে হাজার হাজার ডলার খরচ করতে হয়। শুধু ধনী ব্যক্তিরাই এসবে ভ্রমন করে। আমাদের বাকী সবাইকে উড়ন্ত গাধা ব্যবহার করতে হয়। সুতরাং দাজ্জাল আকাশকে নিয়ন্ত্রন করে। কারন উড়ন্ত গাধা কেবলমাত্র প্যাসেন্জার এয়ারক্রাফ্ট নয়। উড়ন্ত গাধাটি ফাইটার এয়ারক্রাফ্টও বটে। উড়ন্ত গাধা, ক্রুজ মিসাইলও। সুতরাং দাজ্জাল আকাশকে নিয়ন্ত্রন করে। যখন যুদ্ধ শুরু হয়, সে দ্রুত আকাশকে নিয়ন্ত্রন করে ফেলে। আফিগানিস্তানের মতো গ্যারিলা যুদ্ধ চালিয়ে নেয়া যায় কিন্তু যখন সে আকাশকে নিয়ন্ত্রন করে, তাকে নক আউট দেয়া যাবে না...।
দাজ্জাল পৃথিবী থেকে সামাওয়াত পর্যন্ত ওঠা নামা করবে। এটা করতে হলে তাকে অনেক লম্বা হতে হবে। সে যদি লাফ দেয় আর তার মাথা আকাশকে ছোঁয়ে ফেলে আর নীচে লাফ দিলে পা মাটিতে, এরকম করতে হলে একজন ব্যক্তির অনেক মাইল উঁচু হতে হবে। তাহলে এর অর্থ কি? দাজ্জাল পৃথিবী থেকে সামাওয়াত পর্যন্ত ওঠা নামা করবে!
উত্তর: এখানে প্রতীকি রয়েছে। দাজ্জালের সেই প্রযুক্তি থাকবে যার মাধ্যমে সে ইচ্ছে মতো ওঠা নামা করবে। এবং এই স্পেস সাটল রয়েছে। স্পাই স্টেশন এবং মিলিটারি স্টেশনে ওঠা নামা করে।
দাজ্জাল সমুদ্রে পা রাখলে পানি হাটু পর্যন্ত আসে। প্রটেস্টান্ট ইসলাম অবশ্য ঐ ব্যক্তির জন্য অপেক্ষা করবে, যে কিনা এতোটাই উচ্চতা সম্পন্ন যে, সে যখন সমুদ্র নামে, পানি হাটু পর্যন্ত আসে। কিন্তু আমরা জানি যে এখানে রূপক অর্থ রয়েছে। এটা সেই টেকনলোজিকেই বুঝাচ্ছে যা সমুদ্রের গভিরে গিয়ে একটি ভাঙা উড়ো জাহাজকে তুলে আনতে পারে। এবং সেটাকে মেরামত করতে পারে, হয়তো ৯৫%। তারা এটা করতে সক্ষম হয়েছে...।"
-দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
২৪ মার্চ ২০১৪
Thursday, March 2, 2017
কেয়ামতের পূর্বে অনেকেই নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করবে এই বিষয়ে রসুল স: এর কোন হাদিস থাকলে দয়া করে একটু জানাবেন।
যুগে যুগে অসংখ্য ব্যক্তি নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করে আসছে, এদের মধ্যে সাধারণ ব্যক্তি যেমন তেমনি অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, ইমাম এবং স্কলারও রয়েছে। তবে শিয়াদের মধ্যে ইমাম মাহদী দাবী করার প্রবনতা বেশি লক্ষ করা যায়। বর্তমানে ইরানে এখন পর্যন্ত ৩০০০ হাজারের অধিক ব্যক্তি জেলখানায় রয়েছে যারা নিজেদের ইমাম মাহদী দাবী করেছে।
দেখা যাচেছ, ভবিষ্যতে আমাদের আসল মাহদীকে খুজে নিতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হবে, শয়তানের অনুসারীরাও প্রস্তুতি নিয়ে বসে আসে, তাদের ভুয়া মাহদীদের মাঠে নামানোর জন্য। অতীতে অনেকেই নিজেকে মাহদী দাবী করেছে, এক নজরে তাদের একটু দেখে নেয়....
১। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (1835-1907)
২। সালিহ ইবনে তারিফ (744 খ্রি: খলিফা হিশাম ইবনে আবদুল মালিকের সময়কাল)।
৩। ইবনে তুমাট (1080-1130 দক্ষিন মরক্কো)
৪। সাইয়্যেদ মুহাম্মদ জৌনপুরী (তিনি সাইয়িদ বংশীয় ছিল। মাহদী দাবী করে বেশ প্রভাব সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন তিনি। 7 বছর বয়সে কুরআন হিফজ এবং 21 বছর বয়সে তিনি আসাদুল উলামা উপাধী পেয়েছিল। কিন্তু হঠাত 53 বছরে এসে 1496 খ্রি: ইমাম মাহদী দাবী করে বসে। পরে উনাকে নিয়ে বিস্তারিত লিখব)
৫। সুফি নেতা আহমদ ইবনে আবি মাহলি (1559-1613, দক্ষিন মরক্কো)
৬। আলী মুহাম্মদ সিরাজি (1819-1850)
7। সুফি মুহাম্মদ আহমদ (1844-1885 সুদান)
৮। মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল কাহতানী (1979 সৌদি আরব, নজদ)
৯। রিয়াজ আহমদ গোহার শাহী (জন্ম: 1941)
১০। যিয়া আবদুল যাহরা কাদিম (1970-2007, ইরাক, শিয়া নেতা)
১১। আবদুল্লাহ ইবন মুত্তাওয়া, মুহাম্মদ ইবন হাসান আল মাহদী, আবদুল্লাহ আল মাহদী বিল্লাহ (এরা সবাই শিয়া)
উল্লেখ্য যে, ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ তার প্রসাশনকে The Government of the hidden Imam আখ্যায়িত করে, এবং ইরানি নতুন দুতাবাসগুলোকে ”মাহদীর দুত” হিসাবে বিবেচনা করে।
বাংলাদেশেও মাহদী দাবী করা দুইটা ষাঁড় হলো, টাঙ্গাইলের হেযবুত তাওহীদের এমামুজ্জামান বায়েজীদ খান পন্নি, আরেকটা কয়েক বছর আগে ঢাকার গোপীবাগে খুন হওয়া লুতফুর রহমান।
Sunday, January 29, 2017
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় দাজ্জালের আলোচনা, সমালোচনা, দাজ্জালের চৌদ্দ
গুস্টি উদ্ধার করা সবই সহজ। হ্যাঁ সহজ, যদি আপনি ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে
দাজ্জাল নিয়ে আলোচনা করেন তাহলে আপনাকে নিয়ে কেউ ঘাটাবে না, কেউ আপনার দিকে
চোখ তুলেও চাইবে না। কিন্তু যদি আপনি দাজ্জাল নিয়ে একটু গভীরে আগান, একটু
গভীর চিন্তা করেন, এবং দাজ্জালের সত্যটা প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। তাহলে
আপনি দাজ্জালের রোষানলে পড়বেন, যখনই আপনি সত্য পথে দাজ্জালের মুখোশ উম্মোচন
করার চেষ্টা করবেন তখনই আপনাকে বাঁধা দেওয়া হবে, বাঁধাটা আসবে
আপনার মা-বাবা হতে, আপনার পরিবার হতে, পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন হতে,
রাষ্ট্র হতে, রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দ হতে, এসব মানুষগুলো এক একজন দাজ্জালের
প্রোটেক্টর হিসাবে কাজ করে, এরা নিজেদের অজান্তেই দাজ্জালের রোবটিক সহচর
হিসাবে কাজ করে। এরা ব্রেইনওয়াশড, কি দ্বারা? মিডিয়া দ্বারা, পূর্ববর্তীদের
কিচ্ছা কাহিনী দ্বারা, শিক্ষানীতি দ্বারা, জীবন ব্যবস্থার পদ্ধতি দ্বারা।
দাজ্জাল চাই সুরেলা কণ্ঠের প্যাকপ্যাকানিতে দাজ্জালকে মারুক, কাটুক, ত্যাতলা করে দিক। এই এলো বলে দাজ্জালকে নিয়ে ম্যাতকার করুক। কারণ ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে দাজ্জালের আলোচনায় দাজ্জাল সব সময় সেফ জোনে থাকে।
দাজ্জাল চাই না, কেউ মুক্ত অর্থনীতি, ডেমোক্রেজি, সেকুল্যার শিক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধ, জাতিসংঘ, গণতন্ত্র, নারীতন্ত্র এসব নিয়ে আলোচনা করুক। কারণ এসবেই আছে দাজ্জালের আসল স্বরুপ, এসবে হাত দিলে দাজ্জাল তো আর আপনাকে ছেড়ে কথা বলবেনা, যে কোন প্রকারে আপনার টুটি চেপে ধরবেই।
দাজ্জাল চাই সুরেলা কণ্ঠের প্যাকপ্যাকানিতে দাজ্জালকে মারুক, কাটুক, ত্যাতলা করে দিক। এই এলো বলে দাজ্জালকে নিয়ে ম্যাতকার করুক। কারণ ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে দাজ্জালের আলোচনায় দাজ্জাল সব সময় সেফ জোনে থাকে।
দাজ্জাল চাই না, কেউ মুক্ত অর্থনীতি, ডেমোক্রেজি, সেকুল্যার শিক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধ, জাতিসংঘ, গণতন্ত্র, নারীতন্ত্র এসব নিয়ে আলোচনা করুক। কারণ এসবেই আছে দাজ্জালের আসল স্বরুপ, এসবে হাত দিলে দাজ্জাল তো আর আপনাকে ছেড়ে কথা বলবেনা, যে কোন প্রকারে আপনার টুটি চেপে ধরবেই।
Friday, January 13, 2017
আমি আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি। এখনো বলছি বর্তমানে আমাদের মনের শুভ্রতা,
পবিত্রতা, আধ্যাত্বিকতা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। ঈমানের আলো যা একটু জ্বলছে
তা স্রেফ আল্লাহর একত্ববাদের উপর বিশ্বাসের কারণেই। কিন্তু বর্তমান
বিশ্বকে বুঝার জন্য এ ঈমান যথেষ্ট নই।
বর্তমানে বাহ্যিক দৃষ্টিতে যা দেখছি, শুনছি, উপলব্ধি করছি তার বেশিরভাগই ফেইক, অসত্য।
কিছুক্ষণ আগে শেখ ইমরান নজরের সুরা কাহাফ ও বর্তমান বিশ্ব বইটির কয়েক পাতা পড়েছি মাত্র, এ কয়েক পাতা পড়েই আমার তো গায়ের লোম খাড়া হওয়ার যোগাড়। কি পরিমাণ ভুলের মধ্যে আছি আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালাই মালুম।
আমরা বাহ্যিক দৃষ্ঠিতে যা দেখি, আধ্যাত্বিক অন্ত:দৃষ্টি দিয়ে যদি তা দেখতে পেতাম তাহলে দেখা যেত আমরা যা বিশ্বাস করি, অন্তরে লালন করি, তার ৭০ ভাগই আমাদের চিন্তার সাথে সাংঘর্ষিক। আমার তো এখন ভয়ই হয়, না জানি আমার বিশ্বাসে কি পরিমাণ ঘাপলা আছে।
এক্ষনে মনে হলো, কেন মুসা আ: খিজির আ: সাথে বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারে নাই।
যেখানে বাহ্যিক দৃষ্টি দিয়ে দেখার কারণে মুসা আ: এর মতো নবীর মনে দুদোল্যমান সৃষ্টি হয়েছিল, সেখানে আমরা কি ছার!!!
বর্তমানে বাহ্যিক দৃষ্টিতে যা দেখছি, শুনছি, উপলব্ধি করছি তার বেশিরভাগই ফেইক, অসত্য।
কিছুক্ষণ আগে শেখ ইমরান নজরের সুরা কাহাফ ও বর্তমান বিশ্ব বইটির কয়েক পাতা পড়েছি মাত্র, এ কয়েক পাতা পড়েই আমার তো গায়ের লোম খাড়া হওয়ার যোগাড়। কি পরিমাণ ভুলের মধ্যে আছি আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালাই মালুম।
আমরা বাহ্যিক দৃষ্ঠিতে যা দেখি, আধ্যাত্বিক অন্ত:দৃষ্টি দিয়ে যদি তা দেখতে পেতাম তাহলে দেখা যেত আমরা যা বিশ্বাস করি, অন্তরে লালন করি, তার ৭০ ভাগই আমাদের চিন্তার সাথে সাংঘর্ষিক। আমার তো এখন ভয়ই হয়, না জানি আমার বিশ্বাসে কি পরিমাণ ঘাপলা আছে।
এক্ষনে মনে হলো, কেন মুসা আ: খিজির আ: সাথে বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারে নাই।
যেখানে বাহ্যিক দৃষ্টি দিয়ে দেখার কারণে মুসা আ: এর মতো নবীর মনে দুদোল্যমান সৃষ্টি হয়েছিল, সেখানে আমরা কি ছার!!!
একটা সময় প্রচুর গান শুনতাম। এখনও যে শুনিনা
তা নয়, তবে না শুনার চেষ্টায় আছি। রসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন,
সঙ্গীত মানুষের মনে নিফাক সৃষ্টি করে। নিফাক
কি? এর বাংলা অর্থ যথাসম্ভব প্রতারণা,
কপটতা। সঙ্গীত কিভাবে মানুষের মনে প্রতারণার
সৃষ্টি করে তা নিয়ে ভাবতাম। ভাবতাম সঙ্গীত
তো মনকে হালকা করে, রোমান্টিকতায় ভাসায়।
তাহলে প্রতারণার সৃষ্টি করে কিভাবে? আসলে
আমরা যখন মিউজিক শুনি মস্তিষ্কের
নিউরণগুলো উদ্বেলিত হয়ে মনকে আন্দোলিত
করে, অবচেতন মনে কল্পনার জগতে ভাসায়,
কিংবা প্রিয়ার কথা মনে করিয়ে হৃদয়ে সুখের
অনুভূতি জাগায়। এভাবে গান শুনার পর যখন
আমরা বাস্তবে ফিরে আসি, যখন বাস্তবতার
কঠিন মুহুর্তগুলোর সম্মুখীন হয়ে পরিস্থিতির
সাথে অ্যাডাপ্ট করতে ব্যর্থ হয়। তখনই মনে
আশ্রয় নেয় প্রতারণা/কপটতা। ফলে প্রতারণার
আশ্রয় নিয়ে হলেও উদ্দেশ্য হাসিলের ঘৃন্য
চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পড়ি। সঙ্গীতের আরেকটা
বিষয় হলো এই, যেসব বাক্য, কথা, শব্দ আমরা
সচরাচর বলিনা, বিশ্বাস করিনা, গানের মাধ্যমে
দাজ্জাল সেসবে মানবজাতিকে এখন অভ্যস্থ
করে তুলেছে, যেমন বর্তমানে গানের মাধ্যমে
অধিকাংশ মানুষ নিজেদের অজান্তেই শিরক,
অবাধ যৌনতা, প্রেম, সমকাম, কামনা এসব
বিষয়গুলো চর্চা করছে। আমার মনে হয়,
বর্তমানে প্রেম নামক ভাইরাসকে মহামারীতে রুপ
দেওয়ার প্রধান টনিক হিসাবে কাজ করছে এই
মিউজিক জগত।
তা নয়, তবে না শুনার চেষ্টায় আছি। রসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন,
সঙ্গীত মানুষের মনে নিফাক সৃষ্টি করে। নিফাক
কি? এর বাংলা অর্থ যথাসম্ভব প্রতারণা,
কপটতা। সঙ্গীত কিভাবে মানুষের মনে প্রতারণার
সৃষ্টি করে তা নিয়ে ভাবতাম। ভাবতাম সঙ্গীত
তো মনকে হালকা করে, রোমান্টিকতায় ভাসায়।
তাহলে প্রতারণার সৃষ্টি করে কিভাবে? আসলে
আমরা যখন মিউজিক শুনি মস্তিষ্কের
নিউরণগুলো উদ্বেলিত হয়ে মনকে আন্দোলিত
করে, অবচেতন মনে কল্পনার জগতে ভাসায়,
কিংবা প্রিয়ার কথা মনে করিয়ে হৃদয়ে সুখের
অনুভূতি জাগায়। এভাবে গান শুনার পর যখন
আমরা বাস্তবে ফিরে আসি, যখন বাস্তবতার
কঠিন মুহুর্তগুলোর সম্মুখীন হয়ে পরিস্থিতির
সাথে অ্যাডাপ্ট করতে ব্যর্থ হয়। তখনই মনে
আশ্রয় নেয় প্রতারণা/কপটতা। ফলে প্রতারণার
আশ্রয় নিয়ে হলেও উদ্দেশ্য হাসিলের ঘৃন্য
চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পড়ি। সঙ্গীতের আরেকটা
বিষয় হলো এই, যেসব বাক্য, কথা, শব্দ আমরা
সচরাচর বলিনা, বিশ্বাস করিনা, গানের মাধ্যমে
দাজ্জাল সেসবে মানবজাতিকে এখন অভ্যস্থ
করে তুলেছে, যেমন বর্তমানে গানের মাধ্যমে
অধিকাংশ মানুষ নিজেদের অজান্তেই শিরক,
অবাধ যৌনতা, প্রেম, সমকাম, কামনা এসব
বিষয়গুলো চর্চা করছে। আমার মনে হয়,
বর্তমানে প্রেম নামক ভাইরাসকে মহামারীতে রুপ
দেওয়ার প্রধান টনিক হিসাবে কাজ করছে এই
মিউজিক জগত।
ঘটনাটা ডা: জাকির নায়েকের লেকচারে শুনেছিলাম, সম্ভবত ইউরোপের কোন এক
হসপিটালে কুরআনের আয়াতের পানি পড়া খেয়ে ক্যানসার রোগী ভালো হয়ে গিয়েছিল।
পরে ঐ পানি ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর দেখা গেল পানিতে ক্যানসার
সেল নষ্ট করার প্রচুর ব্যাকটেরিয়া মজুদ রয়েছে।
এবার একটি হাদিস বলি, আবু সাঈদ র: হতে বর্ণিত রসুল স: এর কিছু সাহাবী তখন সফরে ছিলেন। তারা আরবের এক গোত্রের কাছে মেহমান হওয়ার আর্জি পেশ করলে তারা সাহাবীদের মেহমান করতে অস্বীকৃতি জানায়। ঐ রাতে তাদের গোত্র প্রধানকে সাপ কিংবা বিছা কামড়ালে, সকল চেষ্টার পর তারা সাহাবীদের কাছে সাহায্যের জন্য যায়। যেহেতু তাদের মেহমান করতে অস্বীকৃতি জানায়, সেহেতু সাহাবীরা এক পাল ভেড়ার বিনিময়ে তাদের চিকিতসা করার প্রস্তাব দেয়। পরে তাদের মধ্যে একজন সাহাবী রুকইয়া (দোয়াটি সুরা ফাতেহা ছিল) পড়ে দম নিলে গোত্র প্রধান ভালো হয়ে উঠে। পরে বিনিময়ে পাওয়া ভেড়াগুলো নিযে সাহাবীরা রসুল স: কাছে গিয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করলে, রসুল স: বলেন, তুমি কিভাবে জানলে রুকইয়া হিসাবে সুরা ফাতিহা পড়া যায়? আরও বললেন, তুমি সঠিক কাজটি করেছো। এরপর রসুল স: বলেন, তোমরা যা উপার্জন করেছ তা ভাগ করে নাও আর আমাকেও একটি অংশ দাও তখন রসুল স: মৃদু হাসলেন। (সহি বুখারী)
আল্লাহর দেওয়া শরীরে রোগ থাকবেই, সে রোগ ভালো করার পদ্ধতিও আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দাজ্জালের অনুসারীরা সে রোগের সুযোগ নিয়ে মানবজাতিকে এক প্রকার কুক্ষিগত করে রেখেছে। চিকিতসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানই একমাত্র ভরসা, চিকিতসা মাত্রই বিজ্ঞান, এভাবেই চিন্তা করতে বাধ্য করছে বর্তমান দাজ্জালিক চিকিতসা ব্যবস্থা। তথাকথিত এসব মরণফাঁদ চিকিতসা ছাড়াও যে আরও অনেক চিকিতসা পদ্ধতি রয়েছে তা যেন বর্তমান বিশ্ব বিশ্বাসই করতে পারছেনা। অপরদিকে এলিট পাওয়ারদের উদ্ভাবিত মড়িফাইড মেডিসিন দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবহার করার কারণে মানব শরীরের ইমিউন সিস্টেম ধীরলয়ে ড্যামেজড হয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি করা উচিত আমাদের, কি করতে পারি? আমাদের ফিরে যেতে হবে রসুল স: চিকিতসা ব্যবস্থায়।
আর মুনতাহা ভাইয়ের সাথে সুর মিলিয়ে বলতেই হয়, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে সেসব অতি অল্প সংখ্যক মুসলিমরা যারা তাদের চিকিতসার জন্য সুন্নতি পদ্ধতি অবলম্বনে অভ্যস্ত। যাদের খাদ্য আসবে সুবহানাল্লাহর মাধ্যমে, আলহামদুলিল্লাহর মাধ্যমে, আল্লাহু আকবারের মাধ্যমে, তাদের চিকিতসা পদ্ধতিও হবে সুন্নতি চিকিতসা, নব্বী চিকিতসা।
এবার একটি হাদিস বলি, আবু সাঈদ র: হতে বর্ণিত রসুল স: এর কিছু সাহাবী তখন সফরে ছিলেন। তারা আরবের এক গোত্রের কাছে মেহমান হওয়ার আর্জি পেশ করলে তারা সাহাবীদের মেহমান করতে অস্বীকৃতি জানায়। ঐ রাতে তাদের গোত্র প্রধানকে সাপ কিংবা বিছা কামড়ালে, সকল চেষ্টার পর তারা সাহাবীদের কাছে সাহায্যের জন্য যায়। যেহেতু তাদের মেহমান করতে অস্বীকৃতি জানায়, সেহেতু সাহাবীরা এক পাল ভেড়ার বিনিময়ে তাদের চিকিতসা করার প্রস্তাব দেয়। পরে তাদের মধ্যে একজন সাহাবী রুকইয়া (দোয়াটি সুরা ফাতেহা ছিল) পড়ে দম নিলে গোত্র প্রধান ভালো হয়ে উঠে। পরে বিনিময়ে পাওয়া ভেড়াগুলো নিযে সাহাবীরা রসুল স: কাছে গিয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করলে, রসুল স: বলেন, তুমি কিভাবে জানলে রুকইয়া হিসাবে সুরা ফাতিহা পড়া যায়? আরও বললেন, তুমি সঠিক কাজটি করেছো। এরপর রসুল স: বলেন, তোমরা যা উপার্জন করেছ তা ভাগ করে নাও আর আমাকেও একটি অংশ দাও তখন রসুল স: মৃদু হাসলেন। (সহি বুখারী)
আল্লাহর দেওয়া শরীরে রোগ থাকবেই, সে রোগ ভালো করার পদ্ধতিও আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দাজ্জালের অনুসারীরা সে রোগের সুযোগ নিয়ে মানবজাতিকে এক প্রকার কুক্ষিগত করে রেখেছে। চিকিতসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানই একমাত্র ভরসা, চিকিতসা মাত্রই বিজ্ঞান, এভাবেই চিন্তা করতে বাধ্য করছে বর্তমান দাজ্জালিক চিকিতসা ব্যবস্থা। তথাকথিত এসব মরণফাঁদ চিকিতসা ছাড়াও যে আরও অনেক চিকিতসা পদ্ধতি রয়েছে তা যেন বর্তমান বিশ্ব বিশ্বাসই করতে পারছেনা। অপরদিকে এলিট পাওয়ারদের উদ্ভাবিত মড়িফাইড মেডিসিন দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবহার করার কারণে মানব শরীরের ইমিউন সিস্টেম ধীরলয়ে ড্যামেজড হয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি করা উচিত আমাদের, কি করতে পারি? আমাদের ফিরে যেতে হবে রসুল স: চিকিতসা ব্যবস্থায়।
আর মুনতাহা ভাইয়ের সাথে সুর মিলিয়ে বলতেই হয়, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে সেসব অতি অল্প সংখ্যক মুসলিমরা যারা তাদের চিকিতসার জন্য সুন্নতি পদ্ধতি অবলম্বনে অভ্যস্ত। যাদের খাদ্য আসবে সুবহানাল্লাহর মাধ্যমে, আলহামদুলিল্লাহর মাধ্যমে, আল্লাহু আকবারের মাধ্যমে, তাদের চিকিতসা পদ্ধতিও হবে সুন্নতি চিকিতসা, নব্বী চিকিতসা।
ক্লোজআপ খাটে আসার সরি... কাছে আসার সাহসী গল্প নামে নাটকগুলো নতুন করে
তরুণ তরুণীর মগজ ধোলাইয়ে নেমেছে। ধর্মীয় অনুশাসন, পিতামাতার মান সম্মান,
সামাজিক বাধ্য বাধকতার খেতায় আগুন দিয়ে প্রেমের নামে ফষ্টিনষ্টি করে ঘুরে
বেড়ানো কপোত কাপোতীদের জীবনের গল্প নিয়ে মিডিয়ার এই নতুন গুটিবাজী।
ঝোপের আড়ালে, বনে বাদাড়ে, আড়ালে আবডালে, লিটনের প্লাটে তথাকথিত এসব সাহসী গল্প তৈরীতে তরুন তরুনীরা এমনিতেই খুবই সিদ্ধহস্ত, তার উপর নতুন করে কোন চূলকানিতে যে চ্যানেলগুলো এসব আকামগুলো সাহসী গল্প নাম দিয়ে জনসাধারণের নজরে নিয়ে আসছে তা বোদগম্য হচ্ছেনা।
অবশ্য গগ মেগগ মিডিয়া চাইও এসব দেখে দেখে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠুক, এসবে জড়িয়ে যুবসমাজের চিন্তার প্রসারতা স্থবির হয়ে যাক। রোবটে পরিণত হোক এক একটা আদম সন্তান, মঞ্চ তৈরী হোক, অত:পর ফিরে আসুক দাজ্জাল তার আসল আবরণে ....।
ঝোপের আড়ালে, বনে বাদাড়ে, আড়ালে আবডালে, লিটনের প্লাটে তথাকথিত এসব সাহসী গল্প তৈরীতে তরুন তরুনীরা এমনিতেই খুবই সিদ্ধহস্ত, তার উপর নতুন করে কোন চূলকানিতে যে চ্যানেলগুলো এসব আকামগুলো সাহসী গল্প নাম দিয়ে জনসাধারণের নজরে নিয়ে আসছে তা বোদগম্য হচ্ছেনা।
অবশ্য গগ মেগগ মিডিয়া চাইও এসব দেখে দেখে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠুক, এসবে জড়িয়ে যুবসমাজের চিন্তার প্রসারতা স্থবির হয়ে যাক। রোবটে পরিণত হোক এক একটা আদম সন্তান, মঞ্চ তৈরী হোক, অত:পর ফিরে আসুক দাজ্জাল তার আসল আবরণে ....।
Subscribe to:
Posts (Atom)