Thursday, March 2, 2017
কেয়ামতের পূর্বে অনেকেই নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করবে এই বিষয়ে রসুল স: এর কোন হাদিস থাকলে দয়া করে একটু জানাবেন।
যুগে যুগে অসংখ্য ব্যক্তি নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করে আসছে, এদের মধ্যে সাধারণ ব্যক্তি যেমন তেমনি অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, ইমাম এবং স্কলারও রয়েছে। তবে শিয়াদের মধ্যে ইমাম মাহদী দাবী করার প্রবনতা বেশি লক্ষ করা যায়। বর্তমানে ইরানে এখন পর্যন্ত ৩০০০ হাজারের অধিক ব্যক্তি জেলখানায় রয়েছে যারা নিজেদের ইমাম মাহদী দাবী করেছে।
দেখা যাচেছ, ভবিষ্যতে আমাদের আসল মাহদীকে খুজে নিতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হবে, শয়তানের অনুসারীরাও প্রস্তুতি নিয়ে বসে আসে, তাদের ভুয়া মাহদীদের মাঠে নামানোর জন্য। অতীতে অনেকেই নিজেকে মাহদী দাবী করেছে, এক নজরে তাদের একটু দেখে নেয়....
১। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (1835-1907)
২। সালিহ ইবনে তারিফ (744 খ্রি: খলিফা হিশাম ইবনে আবদুল মালিকের সময়কাল)।
৩। ইবনে তুমাট (1080-1130 দক্ষিন মরক্কো)
৪। সাইয়্যেদ মুহাম্মদ জৌনপুরী (তিনি সাইয়িদ বংশীয় ছিল। মাহদী দাবী করে বেশ প্রভাব সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন তিনি। 7 বছর বয়সে কুরআন হিফজ এবং 21 বছর বয়সে তিনি আসাদুল উলামা উপাধী পেয়েছিল। কিন্তু হঠাত 53 বছরে এসে 1496 খ্রি: ইমাম মাহদী দাবী করে বসে। পরে উনাকে নিয়ে বিস্তারিত লিখব)
৫। সুফি নেতা আহমদ ইবনে আবি মাহলি (1559-1613, দক্ষিন মরক্কো)
৬। আলী মুহাম্মদ সিরাজি (1819-1850)
7। সুফি মুহাম্মদ আহমদ (1844-1885 সুদান)
৮। মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল কাহতানী (1979 সৌদি আরব, নজদ)
৯। রিয়াজ আহমদ গোহার শাহী (জন্ম: 1941)
১০। যিয়া আবদুল যাহরা কাদিম (1970-2007, ইরাক, শিয়া নেতা)
১১। আবদুল্লাহ ইবন মুত্তাওয়া, মুহাম্মদ ইবন হাসান আল মাহদী, আবদুল্লাহ আল মাহদী বিল্লাহ (এরা সবাই শিয়া)
উল্লেখ্য যে, ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ তার প্রসাশনকে The Government of the hidden Imam আখ্যায়িত করে, এবং ইরানি নতুন দুতাবাসগুলোকে ”মাহদীর দুত” হিসাবে বিবেচনা করে।
বাংলাদেশেও মাহদী দাবী করা দুইটা ষাঁড় হলো, টাঙ্গাইলের হেযবুত তাওহীদের এমামুজ্জামান বায়েজীদ খান পন্নি, আরেকটা কয়েক বছর আগে ঢাকার গোপীবাগে খুন হওয়া লুতফুর রহমান।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment