Thursday, June 15, 2017
কি শবে বরাত, কি শবে মেরাজ,
কি শবে বরাত, কি শবে মেরাজ, ওয়াজ মাহফিল থেকে শুরু করিয়া বিবাহে পর্যন্ত এখন মসজিদ সুসজ্জিত করিবার প্রতিযোগীতা চলিতেছে। এহেন কর্মকান্ড দেখিলে মনে হয়, মসজিদ সুসজ্জিত করিয়া সমাজপতিরা জান্নাত খরিদ করিয়া নিবে। উনারা অবৈধ পন্থায় রোজগার করে, আর তাহা হইতে দুয়েক পয়সা ধর্মের পথে খরচ করিয়া তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলিয়া চিন্তায় মশগুল থাকে,, আহ! জান্নাতে যাওয়া আমার ঠেকায় কে??
কুরআন তিলাওয়াত ও এখন অনুষ্ঠান সর্বস্ব হইয়া পড়িয়াছে, বরাত, মিরাজ, রমযান আসলেই আমাদের কুরআন খতমের হিড়িক পড়ে যায়। আমরা কুরআনকে আসলে খতম করিয়াই ফেলিয়াছি, শুরু আর করিতে পারি নাই। তাই কুরআন এখন পান্ডুলিপি বৈ কিছু নয়।
বর্তমান আলেমগণ ও এক কাঠি সরেস, তাহারাও পিছিয়া থাকিবেন কেন? লাইমলাইটে আসার জন্য কিছু না কিছু ভেলকিবাজী পাবলিকদিগকে গিলাইতে হয় বৈকি, তাই আমাদের আলেমগণ ও দলাদলি করিয়া হইলেও দলভারী করিবার কার্যে সর্বদা নিয়োজিত থাকে। আফসোস!! আমাদের আলেমগণ কি কেয়ামত নিয়া এক্সট্রিম হাদিসগুলো পড়িয়া দেখেন না? মনে কি চিন্তার উদয় হয়না? তাহারা নিজেরাই এক একজন কেয়ামতের আলামত প্রকাশের নিয়ামক হিসাবে কাজ করিতেছে।
রসুল স: সত্য বলিয়াছেন, কেয়ামতের আলামত প্রকাশিত হইয়াছে, এই হাদিসটাই তাহার প্রমাণ...
হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন,
"মানবজাতির মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন ইসলাম নামেমাত্র থাকবে, কোরান শুধুমাত্র লিখিত পান্ডুলিপি হয়ে থাকবে, মসজিদগুলো ভীষণ সুসজ্জিত হবে কিন্তু হেদায়েতের পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, আলেম-ওলামাগণ হবে আকাশের নীচে থাকা সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোকজন। তারা হবে মানুষের জন্য ফিৎনা।" [বায়হাকী]
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment