Friday, January 13, 2017

ঘটনাটা ডা: জাকির নায়েকের লেকচারে শুনেছিলাম, সম্ভবত ইউরোপের কোন এক হসপিটালে কুরআনের আয়াতের পানি পড়া খেয়ে ক্যানসার রোগী ভালো হয়ে গিয়েছিল। পরে ঐ পানি ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর দেখা গেল পানিতে ক্যানসার সেল নষ্ট করার প্রচুর ব্যাকটেরিয়া মজুদ রয়েছে।
এবার একটি হাদিস বলি, আবু সাঈদ র: হতে বর্ণিত রসুল স: এর কিছু সাহাবী তখন সফরে ছিলেন। তারা আরবের এক গোত্রের কাছে মেহমান হওয়ার আর্জি পেশ করলে তারা সাহাবীদের মেহমান করতে অস্বীকৃতি জানায়। ঐ রাতে তাদের গোত্র প্রধানকে সাপ কিংবা বিছা কামড়ালে, সকল চেষ্টার পর তারা সাহাবীদের কাছে সাহায্যের জন্য যায়। যেহেতু তাদের মেহমান করতে অস্বীকৃতি জানায়, সেহেতু সাহাবীরা এক পাল ভেড়ার বিনিময়ে তাদের চিকিতসা করার প্রস্তাব দেয়। পরে তাদের মধ্যে একজন সাহাবী রুকইয়া (দোয়াটি সুরা ফাতেহা ছিল) পড়ে দম নিলে গোত্র প্রধান ভালো হয়ে উঠে। পরে বিনিময়ে পাওয়া ভেড়াগুলো নিযে সাহাবীরা রসুল স: কাছে গিয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করলে, রসুল স: বলেন, তুমি কিভাবে জানলে রুকইয়া হিসাবে সুরা ফাতিহা পড়া যায়? আরও বললেন, তুমি সঠিক কাজটি করেছো। এরপর রসুল স: বলেন, তোমরা যা উপার্জন করেছ তা ভাগ করে নাও আর আমাকেও একটি অংশ দাও তখন রসুল স: মৃদু হাসলেন। (সহি বুখারী)
আল্লাহর দেওয়া শরীরে রোগ থাকবেই, সে রোগ ভালো করার পদ্ধতিও আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দাজ্জালের অনুসারীরা সে রোগের সুযোগ নিয়ে মানবজাতিকে এক প্রকার কুক্ষিগত করে রেখেছে। চিকিতসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানই একমাত্র ভরসা, চিকিতসা মাত্রই বিজ্ঞান, এভাবেই চিন্তা করতে বাধ্য করছে বর্তমান দাজ্জালিক চিকিতসা ব্যবস্থা। তথাকথিত এসব মরণফাঁদ চিকিতসা ছাড়াও যে আরও অনেক চিকিতসা পদ্ধতি রয়েছে তা যেন বর্তমান বিশ্ব বিশ্বাসই করতে পারছেনা। অপরদিকে এলিট পাওয়ারদের উদ্ভাবিত মড়িফাইড মেডিসিন দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবহার করার কারণে মানব শরীরের ইমিউন সিস্টেম ধীরলয়ে ড্যামেজড হয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি করা উচিত আমাদের, কি করতে পারি? আমাদের ফিরে যেতে হবে রসুল স: চিকিতসা ব্যবস্থায়।
আর মুনতাহা ভাইয়ের সাথে সুর মিলিয়ে বলতেই হয়, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে সেসব অতি অল্প সংখ্যক মুসলিমরা যারা তাদের চিকিতসার জন্য সুন্নতি পদ্ধতি অবলম্বনে অভ্যস্ত। যাদের খাদ্য আসবে সুবহানাল্লাহর মাধ্যমে, আলহামদুলিল্লাহর মাধ্যমে, আল্লাহু আকবারের মাধ্যমে, তাদের চিকিতসা পদ্ধতিও হবে সুন্নতি চিকিতসা, নব্বী চিকিতসা।

No comments:

Post a Comment