Friday, March 24, 2017

অনেকদিন আগে তাসলিমা নাসরিনের একটা লেখায় পড়েছিলাম, হরমোন যতদিন শরীরকে ‍কামড়াবে ততদিন পর্যন্ত পুরুষ নারী, নারী পুরুষকে খুঁজতে থাকবে। শরীরে হরমোন শেষ ভালোবাসাও শেষ। এখনকার প্রেম পিরিতির ক্ষেত্রে তা অবশ্য সত্য, এসব প্রেমে দায়িত্ববোধ থাকেনা বিধায় হরমোনাল প্যারামিটার একটু উপরের দিকেই থাকে বেশি। দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রেমের ক্ষেত্রে হরমোনাল ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া প্রাধান্য পেলেও তসলিমা (যে সংসারের স্বাদ পাইনি কোনদিন, সে ভালোবাসার কোন কচুটা বুঝবে) হয়তো উপলব্ধি করতে র্ব্যথ হয়েছে, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, দায়িত্ব থেকে যে ভালোবাসার সৃর্ষ্টি হয় তা প্রথমদিকে হরমোনাল হলেও পরবর্তীতে সে ভালোবাসা অভ্যাসে পরিনত হয়। তাইতো এমন অনেক কাপল দেখা যায়, হরমোন শেষ হয়ে গেলেও, বৃদ্ধ হয়ে গেলেও তাদের সংসারে ভালোবাসার খুনসুটি আজীবন লেগেই থাকে।
রসুল স: একদিন সাহাবীদের নিয়ে দাজ্জালের বর্ণনা করতেছেন, বর্ণনা শুনে সাহাবীরা বিচলিত হয়ে বললেন ইয়া রসুল স: আপনি দাজ্জাল সম্পর্কে এমন ভাবে বলছেন যেন মনে হচ্ছে দাজ্জাল আমাদের ঘরের আশেপাশে, খেজুরের বাগানে ‍অবস্থান করতেছে । ভাবা যায়, 1400 বছর আগে সাহাবীরা দাজ্জাল নিয়ে চিন্তিত, বিচলিত ছিল। দাজ্জালের ফিতনা হতে ‍সুরক্ষায় থাকার জন্য সাহাবীরা এবং রসুল স: আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতেন। আর আমরা তামাম দুনিয়ার মুসলিমরা 1400 বছর পরে 2017 তে এসে নিম্চিত হয়ে বসে প্রমাদ গুনছি, ধুর.. দাজ্জাল আসতে আরো অনেক বছর বাকী, এসব বিষয় নিয়ে এখন চিন্তা করে লাইফটা হেল করার দরকার কি? তার চেয়ে বরং নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জান্নাত লাভের সুখপাযরা উড়ায়।
শয়তান যে অস্থিত্ববান, শয়তান আছে তা স্বীকার করবেনা কোনদিনই এ্ই বিজ্ঞান সমাজ। কিন্তু আড়ালে বিজ্ঞানের জঠাধারী জায়োনিস্টরা নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য শয়তানের পুজা ঠিকই করে যাচ্ছে। ইশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি নেই এই নিয়ে বিজ্ঞানকে ঢাল বানিয়ে বিজ্ঞানের ধ্বজভংগরোগীরা বা‍রবার প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, কিন্তু একটু ডিপলি চিন্তা করলে পরিষ্কার হয়ে যায় শয়তানের অস্তিত্ব নিয়ে এখনো বিজ্ঞান সমাজ টুঁ শব্দটি উচ্চারণ করেনি, কোন বিজ্ঞানি শয়তানের অস্থিত্ব নিয়ে এখনো সাইন্স জার্নালে কোন কলাম লেখেনি। কিন্তু ইশ্বরের কথা আসলেই তাদের পশ্চাদে চুলকানি ধরে যায়, মোটা মোটা বই লিখে ইশ্বরকে তুলোধুনো করতে ছাড়েন না। ইশ্বর নিয়ে যতটা না বিতর্ক তার একাংশও শয়তানকে নিয়ে হয়েছে কিনা সন্দেহ। আমার মনে হয় বর্তমান বিজ্ঞানের নেগেটিভ ইনভেনশন গুলো কন্ট্রোল করে শয়তান, যা বর্তমান ডিজেস্টার উইপেনের বিস্তার দেখলেই বুঝা যায়। শয়তান আড়ালে থেকে বিজ্ঞানকে হাইলাইট করে নিজের মতাদর্শ প্রচার করে ‍যাচেছ প্রতিনিয়ত। বর্তমান জামানায় শয়তানকে সফল এক ক্যারেক্ট‍ার বলা যায়।
অভিজিতের মতো অসাম্প্রদায়িক কুলাঙ্গাররা ইসলামে মর্ষাকাম আছে বলে ইসলামের কুৎসা রটিয়েছে বহুবার (আমি এখনো পর্যন্ত দেখিনি, ইসলামে কোথায় মর্ষাকাম নিয়ে বলা আছে) । বাঙ্গালী নাস্তিককুল ইসলামকে মর্ষাকামের সাথে জড়িয়ে বেশ কয়েকবার অনলাইন গরম করতে দেখেছি। কিন্তু এসব অসাম্প্রাদায়িক দুপেয়ে জানোয়ারগুলো চিন্তা করে দেখেনা, এই যে হোলি উৎসব পালন করা হচ্ছে উৎসবটা আসছে কোথথেকে? সার্বজনীন এই রং খেলির উৎস কি? হোলি উৎসব মূলত রাধা কৃষ্ণের মর্ষাকামের ফসল। কিন্তু চেতনায় চ্যাতিত অসাম্প্রাদায়িক গোষ্টি এই নিয়ে টুঁ শব্দ করবেনা, পাছে তাদের চেতনার অন্ডকোষে আঘাত লাগে। কিছুক্ষন আগে একটা ভিডিও তে দেখলাম, ঢাকায় রং খেলির নাম দিয়ে কিভাবে হিজাব পরিহিতা মুসলিম বোনদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে নব্য বখাটে কৃষ্ণরা। আফসোস লাগে মুসলিম পরিবারের সন্তানরাও এসব নোংরা উৎসব পালন করছে। হোলি যে মর্ষাকাম থেকে উদ্বুধ তার প্রমান......কামশাস্ত্র পারদর্শী কৃষ্ণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা রাধিকার অঙ্গ-প্রতঙ্গ আলিঙ্গন করত: অষ্টবিধ শৃঙ্গার করিল, পুর্নবার সেই বক্রলোচনা রাধিকাকে করিয়া হস্ত ও নখ দ্বারা সর্বাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করিল (Point to be noted এটিই হচ্ছে মর্ষাকাম)। শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক নিষ্টুরভাবে শরীর ক্ষত-বিক্ষত (মর্ষাকাম) হওয়ায় এবং সারা রাতভর যৌন নিপীড়নের (মর্ষাকাম) কারণে প্রভাতকালে দেখা গেল রাধিকার পরিহিত বস্ত্র এত বেশী রক্ত রঞ্জিত হয়ে পড়েছে যে, লোক লজ্জায় রাধিকা ঘরের বাইরে আসতে পারছে না। তখন শ্রীকৃষ্ণ দোল পুজার ঘোষনা দিয়ে হোলি খেলার আদেশ দেয়। সবাই সবাইকে রঙ দ্বারা রঞ্জিত করতে শুরু করে। তাতে রাধিকার বস্ত্রে রক্তের দাগ রঙের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। সেই থেকে হোলি খেলার প্রচলন শুরু হয়।"
আত্ম উপলব্ধি- ৩ বর্ত‍মান পারিপার্শ্বিক অবস্থাটা এতটাই ঘোলাটে হয়ে গেছে যে, কোনটা সঠিক কোন বেঠিক নির্ণয় করতে রীতিমতো ঘোলা পানি খেতে হয়। আপাত দৃষ্ঠিতে দেখলে যেসব বিষয় সঠিক মনে হয়, একটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায় বিষয়টি ১৮০ ডিগ্রী কোণে উল্টো। ফিতনা এতটাই ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে, আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা নিজ অনুগ্রহে পথ না দেখালে সিরাতুল মুস্তাকিম পাওয়াটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। হে গাফুরুর রহীম সিরাতুল মুস্তাকিমে অটল রাখুন, সহজ সরল পথ দেখান।
হালের মৌলানারা আউলিয়াদের কেরামত, নবীদের মুজিজা নিয়ে ওয়াজ নসীহত করতে করতে শ্রোতাদের চোখের পানি নাকের পানি এক করে ফেলেন। কিন্তু আফসোস,, সকল আউলিয়ার কেরামত, সকল নবী রাসুলদের মধ্যে সংগঠিত মুজিজার চেয়ে আমাদের প্রিয় রাসুলুল্লাহ স: এর ১৪০০ বছর আগের একটি মুজিজা এই বর্তমান যুগেও আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ধুলাবালির আস্তরনে পড়ে আছে সেদিকে কারোরই হুঁশ নেই। রসুল স: সকল মুজিজার মাঝে সর্ব উত্তম মুজিজাটি হচ্ছে পবিত্র আল কুরআন, যা এখনও মানবজাতির মাঝে বিরাজমান। আর আমাদের সুরেলা কন্ঠের রাতের কোকিলরা আছে, কে সাগরের পানি বদনায় ভরেছে, মায়ের পেঠ থেকে কে কাকে লাথি মেরেছে, কোন আউলিয়ার কুকুর কার বাঘ খেয়েছে এসব আজগুবি কাহিনী নিয়ে। রসুল স: এর 63 বছর জীবনে অনেক মুজিজা ছিল, সংঘঠিত হয়েছিল, তা অবশ্যই আমরা বিশ্বাস করি। এসব মুজিজা বয়ানের ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিকতা প্রয়োজন, তা না হলে দুুদোল্যমান মনগুলো আরও বেশি সংশয়ে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
রসুল স: দোয়া করা বর্তমান সেই শামদেশের অবস্থা এখন কিরুপ? আরব বসন্তের নাম দিয়ে শামদেশে গত ৫ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ অফিসিয়ালী এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম। গোটা বিশ্বের বর্তমান অবস্থা খুবই বেগতিক, কোন সময় মালহামা/৩য় বিশ্ব যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে যায় আল্লাহ মালুম। হাদিসে আছে, সিরিয়া আক্রান্ত হলে গোটা পৃথিবীর অবস্থাও খারাপ হতে থাকবে। বর্তমান সিরিয়ার অবস্থা দেখে তো তাই মনে হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ নিয়ে শাহ নেয়ামত উল্লাহর ভবিষ্যবাণীও সত্য হওয়ার পথে (আল্লাহ আলাম), রমযান মাসও আসি আসি, প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়েও সরকার এক পায়ে খাড়া, কি জানি কোন সময় শীন আর নুন আদ্যক্ষরের ভন্ডটি দু ঈদের মাঝখানে পাপ চুক্তিটি করে ফেলে।
♦ ♦ গাজওয়াতুল হিন্দ ♦ঃ- হযরত মোহাম্মদ (সা) - এর ভবিষ্যতবাণী ♦ ♦ . : গাজওয়াতুল হিন্দ হল রাসূলুল্লাহ (সা) কর্তৃক ভবিষ্যদ্বাণীতে বর্ণীত ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম ও মুশিরকদের মধ্যে ভবিতব্য চূড়ান্ত যুদ্ধ। “গাযওয়া” অর্থ যুদ্ধ, আর “হিন্দ” বলতে এই উপমহাদেশ তথা পাক-ভারত-বাংলাদেশসহ মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানকে বুঝায়। এবং বর্তমানে এই অঞ্চলের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আমাদেরকে সেই গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মুসলিমরা গাযওয়া ই হিন্দ নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করলেও ইহুদি মুসরিকরা কিন্তু বিস্তর গবেষণা করছে। গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কিত কিছু হাদিস নিচে দেওয়া হল, উল্লেখ্য যে হাদিসগুলোকে সহিহ(বিশুদ্ধ) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। *** হযরত সা্ওবান (রাঃ) এর হাদিস- নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আজাদকৃত গোলাম হযরত সা্ওবান (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন। একটি হল তারা, যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আরেক দল তারা যারা ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে’। (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২) *** আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের থেকে হিন্দুস্থানের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। কাজেই আমি যদি সেই যুদ্ধের নাগাল পেয়ে যাই, তাহলে আমি তাতে আমার জীবন ও সমস্ত সম্পদ ব্যয় করে ফেলব। যদি নিহত হই, তাহলে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হব। আর যদি ফিরে আসি, তাহলে আমি জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়রা হয়ে যাব”। (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২) *** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/ বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)। এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আঃ) কে শাম দেশে (বর্তমান সিরিয়ায়) পাবে”। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, “আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ)! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী”। বর্ণনাকারী বলেন যে, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘খুব কঠিন, খুব কঠিন’। (আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯) - [মুসনাদে আহমাদ, আস সুনান আল মুজতাবা ,আস সুনান আল কুবরা, আল মজাম আল অস্ত, আল জাম্য আল কাবীর] *----* রাসুলুল্লাহ(সঃ) এর কথা অনুযায়ী খোরাসান (বর্তমান আফগানিস্তান) থেকে কালিমাখচিত কালোপতাকাধারীদের উত্থান এবং তাদের কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া, পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ভারতের কাশ্মীর সীমান্তে ৭ লক্ষ সেনা মোতায়েন, পাক-ভারত-বাংলাদেশের হকপন্থী ইসলামী দলগুলোর আলোচনায় উঠে আসা, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ভারতের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং মুসলিমদের নির্যাতন নিয়ে ভারতের ভেতরে মুসলিমদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ, সেভেন সিস্টারস তথা ভারতের ৭ টি অঙ্গরাজ্যের স্বাধীনতার দাবি নিঃসন্দেহে গাজওয়াতুল হিন্দ এর ইঙ্গিত বহন করে। এই সময় হইত পাক-ভারত-বাংলাদেশের মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা আলাদা হয়ে যাবে। তারা হয়তো কাফিরদের পক্ষে যোগ দিবে অথবা পালিয়ে বেড়াবে। এবং এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হবে এবং তারা বায়তুল মুকাদ্দাস (বর্তমান ফিলিস্তিন) এ গিয়ে ঈসা (আঃ) এর সাথে মিলিত হবে এবং খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করবে। : আল্লাহ-সুবহান ওয়া তা'লা বলেন, হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। (Al- Anfaal: 65) : আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (Al-Baqara: 190) : তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করছে আল্লাহ্ তাদের ওয়াদা করছেন যে, তিনি নিশ্চয়ই তাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের যারা ছিল এদের পূর্ববর্তী, আর অবশ্যই তিনি তাদের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের ধর্ম যা তিনি তাদের জন্য মনোনীত করেছেন, আর নিশ্চয়ই তাদের ভয়-ভীতির পরে তাদের জন্যে বদলে আনবেন নিরাপত্তা। তারা আমারই এবাদত করবে, আমার সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করবে না। আর যে কেউ এর পরে অকৃতজ্ঞতা দেখাবে -- তাহলে তারা নিজেরাই হচ্ছে সীমা-লংঘনকারী। (An-Noor: 55)
মালহামা শুরু হওয়ার অনেকগুলো সমীকরণের মধ্যে, নিচের সমীকরণটি খুবই সহজবোধ্য। ------ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হইবে সিরিয়াতে বিশ্বনবী (সাঃ) আজ থেকে চৌদ্দশত বছর পূর্বে ভবিষ্যতবাণী করিয়া গিয়াছেন যে, মালহামা (মহাযুদ্ধ অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ) অনুষ্টিত হইবে সিরিয়ার আমুক শহরে (কেউ কেউ মনে করেন আমুক বলিতে মহানবী (সাঃ) আলেপ্পো শহরকে বুঝাইয়াছেন) । বর্তমানে আমেরিকান জোট এবং রাশিয়ান জোট তাহাদের অস্ত্রশস্ত্র এবং সৈন্যসামন্ত সিরিয়া এবং তাহার আশেপাশের দেশগুলোতে আনিয়া মওজুত করিতেছে । নবী করীম (সাঃ) আরো ভবিষ্যতবাণী করিয়াছেন যে, এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের শতকরা ৯৯ জন নিহত হইবে । কাজেই ইহাতে বুঝা যায় যে, সেই যুদ্ধটি হইবে পারমাণবিক যুদ্ধ অর্থাৎ ইহাতে অগণিত এটম বোমা নিক্ষিপ্ত হইবে । কেননা সাধারণ যুদ্ধে এতো বেশী মানুষ কখনও নিহত হয় না । নবীজি (সাঃ) কেবল বিশ্বযুদ্ধের কথাই বলেন নাই, ইহার কারণ সম্পর্কেও ভবিষ্যতবাণী করিয়া গিয়াছেন । তিনি বলিয়াছেন যে, ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদীর তলদেশ থেকে একটি সোনার খনি বাহির হইবে এবং লোকেরা তাহার দখল নিয়া যুদ্ধে লিপ্ত হইবে । কাজেই আমরা মনে করি মহানবী (সাঃ) সোনার খনি বলিতে তেলের খনিকে বুঝাইয়াছেন অর্থাৎ তেলভিত্তিক অর্থাৎ পেট্টোডলার ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা । আমেরিকান জোট চাহিতেছে তাহাদের প্রতিষ্টিত পেট্টোডলার ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা টিকাইয়া রাখিতে । অন্যদিকে রাশিয়ান জোট চাহিতেছে পেট্টোডলার ভিত্তিক বৈষম্যমূলক অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করিতে । এজন্য রাশিয়া-চীন-ভারত-ব্রাজিল-দক্ষিন আফ্রিকা মিলিয়া তৈরী করিয়াছে নতুন ব্যাংক ব্রিকস (BRICS) । সুতরাং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূল কারণ ইউক্রেন বা সিরিয়া ইস্যু নয় বরং ইহার মূল কারণ হইল ব্রিকস (অর্থাৎ পেট্টোডলার ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা টিকাইয়া রাখা বা সহজ কথায় তেলের খনি ) । মূল - মাওলানা ইমরান নজর হোসেন অনুবাদ – বশীর মাহমুদ ইলিয়াস
সাবধান হয়ে যান !!! ইদানীং দেখা যাইতেছে অনেকেই দুই-চারটা বাংলা কিতাব পড়ে ধর্মীয় ব্যাপারে মতামত/ফতোয়া দিতে থাকেন। অনেকে কথায় কথায় সামান্য মতের অমিল হইলেই অন্যকে কাফের-মোশরেক ইত্যাদি ঘোষণা করেন। এটা যে কত বড় বিপজ্জনক কাজ এবং মহাপাপের কাজ, তার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারনাও নাই। হাদীসে বলা হয়েছে, “মানুষের ভুল/বেফাস/অনুচিত কথা/মতামত/ফতোয়া/মন্তব্যের জন্য আল্লাহ্ তা’য়ালা কখনও কখনও কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর স্থায়ী অসন্তুষ্টি লিখে দেন এবং তাদেরকে এমনভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে যে, সত্তর বছর পর্যন্ত কেবল নীচের দিকেই নামতে থাকবে”। যেই ওমর ফারুক (রাঃ)-কে বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে কোন নবী আসলে তিনি হতেন ওমর (রাঃ), যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে না বলে সেই ওমর (রাঃ) মতামত/ফতোয়া দিলে আবুবকর সিদ্দিক (রাঃ) তাকে ভুল বলে ঘোষণা করেন এবং ওমর (রাঃ) তা মেনে নেন। ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) বেনামাজীকে সহীহ হাদীস অনুযায়ী কাফের ফতোয়া দিলে ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) যুক্তি দিয়ে তার ফতোয়াকে ভুল প্রমাণ করেন এবং ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) তা মেনে নেন। ইমাম সুফিয়ান সওরী (রহঃ)-এর ফতোয়াকে ভুল প্রমাণ করে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) সংশোধন করে দিয়েছেন। ইমাম মালেক (রহঃ) কোন ব্যাপারে মতামত/ফতোয়া দেওয়ার পরে যদি জানতে পারতেন যে, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এই ব্যাপারে অন্য রকমের ফতোয়া দিয়েছেন, তখন তিনি নিজের ফতোয়া বাতিল করে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মতামত/ফতোয়া অনুযায়ী আমল করার জন্য লোকদেরকে বলে দিতেন। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) অনেক ফতোয়াকে ভুল বলে প্রত্যাখ্যান করতেন তাঁর প্রধান দুই শিষ্য ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) এবং ইমাম মোহাম্মদ (রহঃ)। ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ) বলেছেন যে, অন্তত এক লক্ষ হাদীস যার সনদসহ মুখস্ত নাই, ধর্মীয় ব্যাপারে মতামত/ফতোয়া দেওয়ার তার কোন অধিকার নাই এবং তাকে সকল ব্যাপারে এমন একজন আলেমের মতামত অনুযায়ী চলতে হবে যার অন্তত এক লক্ষ হাদীস সনদসহ মুখস্ত আছে। ইমাম মালেক (রহঃ) কামনা করতেন যে, তার প্রতিটি মতামত/ফতোয়ার জন্য যদি একটি করে বেত্রাঘাত করে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দিতেন, তবে কতই না ভালো হতো। এখন ভেবে দেখুন, উপরের ঐসব মহাজ্ঞানীদেরও যদি ভুল হতে পারে, তবে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মতামত/ফতোয়ায় ভুল হওয়া কতো সহজ ! আর আল্লাহ্ যদি ক্ষমা না করেন, তবে তার জন্য যে শাস্তি ভোগ করা লাগবে তা কল্পনাতীত !! Comment of Bashir Mahmud Ellias
ইয়াজুজ মাজুজ চেনার সবচেয়ে সহজ এবং অব্যর্থ ১০১টি নয় ১টিই উপায়........ পশ্চিমা খ্রিস্টানরা এক অদ্ভুত জিনিস করে বসে যা পৃথিবীর ইতিহাস আগে কখনো কেউ দেখেনি। সেটা হলো ইহুদি-খ্রিস্ট মিত্রতা। ইহুদিরা চিরকাল খ্রিস্টানদের ভ্রান্তবাদী বলে এসেছে এবং খ্রিস্টানরা ইহুদিদের নিজেদের ঈশ্বর হত্যাকারী বলে এসেছে। তারা পরষ্পরের শত্রু ও পরষ্পরকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে এসেছে। নিজেদের বিষয়কে যথার্থ প্রমাণ করতে বাগবিতণ্ডা করে এসেছে। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সামনেও তারা পরষ্পরের বিরুদ্ধে বাগবিতণ্ডা করেছে। তারা কখনো বন্ধু ছিল না! কিন্তু পশ্চিমা খ্রিস্টানরা ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইহুদিদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। ভ্যাটিকান পোপ ঘোষণা করে,ইহুদিদের ঘৃণা করা যাবেনা, দায়ী করা যাবেনা। বরং তাদের সাথে মিলিত হয়ে পবিত্র ভূমিতে ইহুদিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। একে বলে “যায়োনিজম” যখন কিছুসংখ্যক ইউরোপীয় খ্রিস্টান ও কিছুসংখ্যক ইউরোপীয় ইহুদি মিলে ইহুদি খ্রিস্ট যায়োনিস্ট এলায়েন্স গঠন করে যার প্রধান লক্ষ্য ছিল পবিত্র ভূমি বায়তুল মুকাদ্দাস বা ফিলিস্তিন দখল করা। পবিত্র কোরানের ভাষ্য অনুযায়ী, এই যায়োনিস্টরাই হলো ইয়াজুজ মাজুজ যারা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে পশ্চিম রুম বা পশ্চিমা খ্রিস্টানদের সাথে মিশে যায় আর ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করে বনী ইসরাইলিদের সাথে ১৩ তম গোত্র হিসেবে মিশে যায়।..... হুদহুদের চিঠি।

দাজ্জালের উড়ন্ত গাধা

#দাজ্জাল এর উড়ন্ত গাধার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে আমরা নিজেরাই গাধা হয়ে যাচ্ছি দাজ্জাল নিয়ে কোন কথা বললে কেউ কেউ এমন ভাব দেখান যেন আমি অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছি, বিশেষ করে আলেম সমাজ। তাদের অনেকেই দাজ্জালের উড়ন্ত গাধার অপেক্ষা করছেন। দাজ্জাল এর উড়ন্ত গাধার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শায়খ্ ইমরান নযর হোসেন বলেন: "দাজ্জাল আসবে গাধায় চড়ে। গাধাটি মেঘের মতো দ্রুত ভ্রমন করবে। গাধাটির কান দুটি চওড়া এবং প্রসারিত থাকবে। উড়ন্ত গাধা, যার কান দুটি চওড়া এবং প্রসারিত? দাজ্জাল এই গাধার ওপর চড়ে আসবে। আমি এই হাদীসের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছিলাম যে, গাধাটি চলে এসেছে। আমি যখনই মালয়শিয়ায় আসি, আমাকে ঐ গাধার ওপর চড়েই আসতে হয়। এখন আর জাহাজে আসা যায় না। এগুলো তারা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু ক্রুজ লাইনার রেখেছে যেখানে হাজার হাজার ডলার খরচ করতে হয়। শুধু ধনী ব্যক্তিরাই এসবে ভ্রমন করে। আমাদের বাকী সবাইকে উড়ন্ত গাধা ব্যবহার করতে হয়। সুতরাং দাজ্জাল আকাশকে নিয়ন্ত্রন করে। কারন উড়ন্ত গাধা কেবলমাত্র প্যাসেন্জার এয়ারক্রাফ্ট নয়। উড়ন্ত গাধাটি ফাইটার এয়ারক্রাফ্টও বটে। উড়ন্ত গাধা, ক্রুজ মিসাইলও। সুতরাং দাজ্জাল আকাশকে নিয়ন্ত্রন করে। যখন যুদ্ধ শুরু হয়, সে দ্রুত আকাশকে নিয়ন্ত্রন করে ফেলে। আফিগানিস্তানের মতো গ্যারিলা যুদ্ধ চালিয়ে নেয়া যায় কিন্তু যখন সে আকাশকে নিয়ন্ত্রন করে, তাকে নক আউট দেয়া যাবে না...। দাজ্জাল পৃথিবী থেকে সামাওয়াত পর্যন্ত ওঠা নামা করবে। এটা করতে হলে তাকে অনেক লম্বা হতে হবে। সে যদি লাফ দেয় আর তার মাথা আকাশকে ছোঁয়ে ফেলে আর নীচে লাফ দিলে পা মাটিতে, এরকম করতে হলে একজন ব্যক্তির অনেক মাইল উঁচু হতে হবে। তাহলে এর অর্থ কি? দাজ্জাল পৃথিবী থেকে সামাওয়াত পর্যন্ত ওঠা নামা করবে! উত্তর: এখানে প্রতীকি রয়েছে। দাজ্জালের সেই প্রযুক্তি থাকবে যার মাধ্যমে সে ইচ্ছে মতো ওঠা নামা করবে। এবং এই স্পেস সাটল রয়েছে। স্পাই স্টেশন এবং মিলিটারি স্টেশনে ওঠা নামা করে। দাজ্জাল সমুদ্রে পা রাখলে পানি হাটু পর্যন্ত আসে। প্রটেস্টান্ট ইসলাম অবশ্য ঐ ব্যক্তির জন্য অপেক্ষা করবে, যে কিনা এতোটাই উচ্চতা সম্পন্ন যে, সে যখন সমুদ্র নামে, পানি হাটু পর্যন্ত আসে। কিন্তু আমরা জানি যে এখানে রূপক অর্থ রয়েছে। এটা সেই টেকনলোজিকেই বুঝাচ্ছে যা সমুদ্রের গভিরে গিয়ে একটি ভাঙা উড়ো জাহাজকে তুলে আনতে পারে। এবং সেটাকে মেরামত করতে পারে, হয়তো ৯৫%। তারা এটা করতে সক্ষম হয়েছে...।" -দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী ২৪ মার্চ ২০১৪

Thursday, March 2, 2017

কেয়ামতের পূর্বে অনেকেই নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করবে এই বিষয়ে রসুল স: এর কোন হাদিস থাকলে দয়া করে এক‍টু জানাবেন। যুগে যুগে অসংখ্য ব্যক্তি নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করে আসছে, এদের মধ্যে সাধারণ ব্যক্তি যেমন তেমনি অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, ইমাম এবং স্কলারও রয়েছে। তবে শিয়াদের মধ্যে ইমাম মাহদী দাবী করার প্রবনতা বেশি লক্ষ করা যায়। বর্তমানে ইরানে এখন পর্যন্ত ৩০০০ হাজারের অধিক ব্যক্তি জেলখানায় রয়েছে যারা নিজেদের ইমাম মাহদী দাবী করেছে। দেখা যাচেছ, ভবিষ্যতে আমাদের আসল মাহদীকে খুজে নিতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হবে, শয়তানের অনুসারীরাও প্রস্তুতি নিয়ে বসে আসে, তাদের ভুয়া মাহদীদের মাঠে নামানোর জন্য। অতীতে অনেকেই নিজেকে মাহদী দাবী করেছে, এক নজরে তাদের একটু দেখে নেয়.... ১। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (1835-1907) ২। সালিহ ইবনে তারিফ (744 খ্রি: খলিফা হিশাম ইবনে আবদুল মালিকের সময়কাল)। ৩। ইবনে তুমাট (1080-1130 দক্ষিন মরক্কো) ৪। সাইয়্যেদ মুহাম্মদ জৌনপুরী (তিনি সাইয়িদ বংশীয় ছিল। মাহদী দাবী করে বেশ প্রভাব সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন তিনি। 7 বছর বয়সে কুরআন হিফজ এবং 21 বছর বয়সে তিনি আসাদুল উলামা‍ উপাধী পেয়েছিল। কিন্তু হঠাত 53 বছরে এসে 1496 খ্রি: ইমাম মাহদী দাবী করে বসে। পরে উনাকে নিয়ে বিস্তারিত লিখব) ৫। সুফি নেতা আহমদ ইবনে আবি মাহলি (1559-1613, দক্ষিন মরক্কো) ৬। আলী মুহাম্মদ সিরাজি (1819-1850) 7। সুফি মুহাম্মদ আহমদ (1844-1885 সুদান) ৮। মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল কাহতানী (1979 সৌদি আরব, নজদ) ৯। রিয়াজ আহমদ গোহার শাহী (জন্ম: 1941) ১০। যিয়া আবদুল যাহরা কাদিম (1970-2007, ইরাক, শিয়া নেতা) ১১। আবদুল্লাহ ইবন মুত্তাওয়া, মুহাম্মদ ইবন হাসান আল মাহদী, আবদুল্লাহ আল মাহদী বিল্লাহ (এরা সবাই শিয়া) উল্লেখ্য যে, ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ তার প্রসাশনকে The Government of the hidden Imam আখ্যায়িত করে, এবং ইরানি নতুন দুতাবাসগুলোকে ”মাহদীর দুত” হিসাবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশেও মাহদী দাবী করা দুইটা ষাঁড় হলো, টাঙ্গাইলের হেযবুত তাওহীদের এমামুজ্জামান বায়েজীদ খান পন্নি, আরেকটা কয়েক বছর আগে ঢাকার গোপীবাগে খুন হওয়া লুতফুর রহমান।