Thursday, June 15, 2017
দাজ্জালের যুগে বহু মানুষ জাগতিক ভোগ
দাজ্জালের যুগে বহু মানুষ জাগতিক ভোগ">দাজ্জালের যুগে বহু মানুষ জাগতিক ভোগ
বিলাসের বিনিময়ে নিজের ঈমান বিক্রি করে
ফেলবে। তারা ঈমান পরিত্যাগ করে দুনিয়াকে বরণ
করে নেবে। কাজেই যারা আল্লাহর দেওয়া জীবন
পরিচালনার পরিবর্তে দাজ্জালের ব্যবস্থায়
জীবন পরিচালনা করবে, তারা দাজ্জালের
কপালের ’কাফিরুন’ লিখাটি দেখতে পাবে না,
এমনকি অক্সফোর্ড, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করলেও না। বরং
তারা দাজ্জালকে যুগের মসীহ, মানবধর্ম,
মানবতার মুক্তির সনদ, মানবাধিকার, নারীবাদী,
প্রগতীশীল আখ্যা দেবে। এর পক্ষে যুক্তি
প্রমানে গাদা গাদা বই, সেমিনার, বক্তৃতা, মুভি,
ড্রামা, সংগীত যত রকমের শয়তানী চিন্তা আছে
সব দিয়ে জাস্টিফাই করা হবে। তারপরেও তারা
নিজেদের ব্যাপারে দাবি করবে, তারা মুসলমান,
অথচ ইসলামের সঙ্গে তাদের সামান্যতম কোন
সম্র্পক থাকবেনা। এসব এইজন্য হবে যে, বদ-
আমল ও আত্মিক পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার কারণে
তাদের ঈমানী শক্তি রহিত হয়ে যাবে। উপরন্তু
যারা সত্যটা প্রকাশ করবে, তারা তাদেরকে
বিভ্রান্ত বলবে, তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার
শারীরিক, মানসিক, অথনৈতিক, সামাজিক ভাবে
কষ্টে নিপতিত করে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য
করবে।
এই মত আমি নিজের পক্ষ হতে দিচ্ছিনা। বরং
বুখারী শরিফের ব্যাখ্যাকার হাফিজ ইবনে হাজার
আসকালানী রহ: ও মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যকার
ইমাম নববী রহ: এই ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ: ফাতহুল
বারীতে লিখেন- ‘সেদিন আল্লাহ লেখাপড়া জানা
ব্যতিরেকেই মুমিনদের জন্য বুঝ তৈরী করে
দেবেন।
ইমাম নববী রহ: লিখেছেন- সেদিন আল্লাহ
মুমিনদের জন্য উক্ত লেখাটি প্রকাশ করে
দেবেন আর বদকার লোকদের জন্য গোপন করে
রাখবেন।
(Idea by 3rd World War & Dajjal, Edited by
Me)
কি শবে বরাত, কি শবে মেরাজ,
কি শবে বরাত, কি শবে মেরাজ, ওয়াজ মাহফিল থেকে শুরু করিয়া বিবাহে পর্যন্ত এখন মসজিদ সুসজ্জিত করিবার প্রতিযোগীতা চলিতেছে। এহেন কর্মকান্ড দেখিলে মনে হয়, মসজিদ সুসজ্জিত করিয়া সমাজপতিরা জান্নাত খরিদ করিয়া নিবে। উনারা অবৈধ পন্থায় রোজগার করে, আর তাহা হইতে দুয়েক পয়সা ধর্মের পথে খরচ করিয়া তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলিয়া চিন্তায় মশগুল থাকে,, আহ! জান্নাতে যাওয়া আমার ঠেকায় কে??
কুরআন তিলাওয়াত ও এখন অনুষ্ঠান সর্বস্ব হইয়া পড়িয়াছে, বরাত, মিরাজ, রমযান আসলেই আমাদের কুরআন খতমের হিড়িক পড়ে যায়। আমরা কুরআনকে আসলে খতম করিয়াই ফেলিয়াছি, শুরু আর করিতে পারি নাই। তাই কুরআন এখন পান্ডুলিপি বৈ কিছু নয়।
বর্তমান আলেমগণ ও এক কাঠি সরেস, তাহারাও পিছিয়া থাকিবেন কেন? লাইমলাইটে আসার জন্য কিছু না কিছু ভেলকিবাজী পাবলিকদিগকে গিলাইতে হয় বৈকি, তাই আমাদের আলেমগণ ও দলাদলি করিয়া হইলেও দলভারী করিবার কার্যে সর্বদা নিয়োজিত থাকে। আফসোস!! আমাদের আলেমগণ কি কেয়ামত নিয়া এক্সট্রিম হাদিসগুলো পড়িয়া দেখেন না? মনে কি চিন্তার উদয় হয়না? তাহারা নিজেরাই এক একজন কেয়ামতের আলামত প্রকাশের নিয়ামক হিসাবে কাজ করিতেছে।
রসুল স: সত্য বলিয়াছেন, কেয়ামতের আলামত প্রকাশিত হইয়াছে, এই হাদিসটাই তাহার প্রমাণ...
হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন,
"মানবজাতির মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন ইসলাম নামেমাত্র থাকবে, কোরান শুধুমাত্র লিখিত পান্ডুলিপি হয়ে থাকবে, মসজিদগুলো ভীষণ সুসজ্জিত হবে কিন্তু হেদায়েতের পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, আলেম-ওলামাগণ হবে আকাশের নীচে থাকা সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোকজন। তারা হবে মানুষের জন্য ফিৎনা।" [বায়হাকী]
আল মালহামা হল একটি যুদ্ধ
আল মালহামা হল একটি যুদ্ধ। একটি অত্যন্ত তীব্র ও ভয়ঙ্কর মহাযুদ্ধ। আল মালহীম হল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক যুদ্ধের সম্মীলনে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ। একটি দীর্ঘমেয়াদী সংঘাত। যা বছরের পর বছর ধরে চলবে। এটা হল অনেকগুলো ছোট যুদ্ধের সম্মীলনে একটি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ এবং রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, আল মালাহীম সংঘঠিত হবে মুসলিম এবং আর রোমানদের মধ্যে। কারা এই “রোমান”? রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম]-এর সময়ে “রোমান” বলতে কোন রাজনৈতিক সত্ত্বা বা শক্তিকে বোঝানো হতো না বরং একটি জাতিকে বোঝানো হতো সেই সময়ের রোমানরা ছিল – ইউরোপিয়ানরা সুতরাং “রোমান” নামটি প্রযোজ্য হবে ইউরোপ এবং এর বর্ধিত অংশগুলোর জন্য উত্তর আমেরিকা (আমেরিকা, কানাডা) ও অস্ট্রেলিয়া। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলছেন রোমান এবং মুসলিমদের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ চলবে, এবং এর নাম আল মালাহীম এবং এসব ঘটনাবলী সংঘঠনের সময়েই আল-মাহদীর আবির্ভাব ঘটবে এবং ঈসা বিন মারইয়াম [আলাইহিস সালাম] অবতরন করবেন এবং দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। এসবই ঘটবে আল-মালাহীমের সময়। সুবহান’আল্লাহ, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি পশ্চিমা বিশ্ব রোমানদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে এবং আল মালাহীমের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে, আর মুসলিমরা এখনো ঘুমাচ্ছে, আলোচনা আর শান্তির গালগল্প বিশ্বাস করে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
আল মালহামা...... শাইখ আনোয়ার আল আওলাকি (রহ:)
Subscribe to:
Posts (Atom)