দাজ্জালের ফিতনার ভয় সাহাবীদের মধ্যে তো ছিলই, এমনকি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত দাজ্জালের ফিতনার ব্যাপারে তটস্থ ছিলেন। প্রায় নিচের দোয়াটি রসুল স: পড়তেন। এই একটি দোয়াতেই দাজ্জালের ফিতনা, কবর ও জাহান্নামের আযাব হতে মুক্তির প্রার্থনা খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আমি প্রায় নামাজ শেষে মোনাজাতে এই দোয়াটি পড়ি। আপনাদের উপকারার্থে দোয়াটি দিলাম। শিখে রাখুন, ফিতনা থেকে বাঁচুন।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُىذُ بِكَ مِنْ عَرَابِ الْقَبْرِ ، وَمِنْ
عَرَابِ جَهَنَّمَ ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ
، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
”হে আল্লাহ আমি আপনার কাছ থেকে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই, এবং আমি আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব থেকে, আশ্রয় চাই জীবন ও মৃত্যুর মধ্যখানের ফিতনা থেকে এবং আশ্রয় চাই মাসিহিদ দাজ্জাল থেকে” (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)
Tuesday, December 27, 2016
Monday, December 26, 2016
বর্তমানে বেশির ভাগ হলিউড বলিউড হরর মুভিগুলোতে গোরস্থানকে প্রেত্মাতা, ভুত, প্রেতদের বসত হিসেবে দেখানো হয়। দেখানো হয় মানুষের জীবনে যত অশুভ বিপদ আপদ আসে সব গোরস্তান হতেই উথিত হয়। কবরস্থানের মতো পবিত্র স্থানকে ভয়ের মাধ্যম বানানো, মৃত্যু চিন্তা ও মৃত্যু পরবর্তী আখেরাত হতে মানবজাতিকে বিমুখ করে রাখা, সর্বপরি সময়ের যে আরেকটি মাত্রা আছে তা থেকে মানবজাতিকে গাফেল রাখা, এসব কিছুই তথাকথিত হরর মুভির মাধ্যমে দাজ্জাল তার সর্বগ্রাসী মগজ ধোলাই চালিয়ে যাচ্ছে।
রসুল স: এর ঘর আর জান্নাতুল বাকীর দূরত্ব কতটুকু ছিল? সাহাবীগণ এবং কবরস্থানের মধ্যে সম্পর্ক কিরুপ ছিল? তখন তাদের কবরস্থান হতো লোকালয়ের আশেপাশে, যেন মৃত্যুকে স্মরনে রেখে প্রাত্যহিক জীবনাচারণ করতে পারে যায়। আর এখন গোরস্থানগুলি শহর বা নগরের বাইরে অবস্থিত। এর পেছনের উদ্দেশ্য হলো পার্থিব ব্যস্ততায় মানুষের মন ও হৃদয়কে আবদ্ধ করে রাখা। যাতে করে মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে, তথা সময়ের আরও যে মাত্রা আছে তা থেকে মানবজাতিকে ভুলিয়ে রাখা। (Inspired by: Sura Kahaf And The Modern Age)
Sunday, December 25, 2016
অনেকদিন আগের একটা জরিপে জেনেছিলাম। প্রাপ্ত বয়স্ক একজন পুরুষের চিন্তার ৮০% অংশ জুড়ে থাকে নারী। জরিপটা 300 বছর আগের পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য না হলেও এখনকারের জন্য একেবারেই খাপে খাপ। যে বয়সে একজন যুবক দেশ জয়ের নেশায় মত্ত থাকবে, উদ্ভাবনী কাজে তার মেধা কাটাবে, উম্মাহর উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে সে বয়সে তারুণ্য আজ নারীর মন জয়ের চিন্তায় মশগুল। তারুণ্যের শক্তিকে কবজা করতে দাজ্জালের এ এক বিরাট প্ল্যান। বিয়ের মতো সহজসাধ্য বিষয়কে কঠিন বানিয়ে দাজ্জাল চাই তারুণ্যের শক্তি বিকশিত না হোক। নারীর চিন্তায় চিন্তায় তারুন্যের যৌবন শক্তি পুরিয়ে যাক, তারুণ্যের উদ্ভাবনী সূর্য্য স্তিমিত থাক।
ইসলামের ইতিহাসের প্রথমদিককার ঘটনা গুলো পর্যালোচনা করলে দেখলে যায়, মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক জয়ের পিছনে নারীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তখনকার যুগে নারীর চিন্তা নিযে মুসলিম যুবকদের বেড়ে উঠতে হতোনা। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। ফলে তারুণ্যের তেজোদীপ্ত শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ইসলাম ছড়িয়েছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে পিছনে ছিল নারীর অমিয় ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণা।
সমাজের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আল্লাহ বিয়ে কে করেছেন সহজসাধ্য, আর অন্য দিকে দাজ্জালের প্রোপোগান্ডায় পড়ে আমাদের পিতামাতারা বিযেটাকে দীর্ঘায়িত করতে করতে ৩০-৪০ এ নিযে যান। ফলাফলে আমরা যা পেলাম, প্রেম নামক ভাইরাসের সংক্রমনে তারুণ্যের শরীরে আজ ধগধগে ঘা।
বিয়ে জিনিসটা একজন যুবকের জন্য কি পরিমাণ জরুরী, শালার ফোঁড় খাওয়া এই সমাজটা যদি একবার বুঝতো। মাইরি বলছি...আমিও না এতদিনে কি না কি করে ফেলতাম। আহ!!!
ইসলামের ইতিহাসের প্রথমদিককার ঘটনা গুলো পর্যালোচনা করলে দেখলে যায়, মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক জয়ের পিছনে নারীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তখনকার যুগে নারীর চিন্তা নিযে মুসলিম যুবকদের বেড়ে উঠতে হতোনা। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। ফলে তারুণ্যের তেজোদীপ্ত শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ইসলাম ছড়িয়েছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে পিছনে ছিল নারীর অমিয় ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণা।
সমাজের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আল্লাহ বিয়ে কে করেছেন সহজসাধ্য, আর অন্য দিকে দাজ্জালের প্রোপোগান্ডায় পড়ে আমাদের পিতামাতারা বিযেটাকে দীর্ঘায়িত করতে করতে ৩০-৪০ এ নিযে যান। ফলাফলে আমরা যা পেলাম, প্রেম নামক ভাইরাসের সংক্রমনে তারুণ্যের শরীরে আজ ধগধগে ঘা।
বিয়ে জিনিসটা একজন যুবকের জন্য কি পরিমাণ জরুরী, শালার ফোঁড় খাওয়া এই সমাজটা যদি একবার বুঝতো। মাইরি বলছি...আমিও না এতদিনে কি না কি করে ফেলতাম। আহ!!!
Wednesday, December 21, 2016
আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ (কুরআন) নাযিল করেছি যা প্রত্যেক বস্তুর
সুস্পষ্ট বর্ণনা প্রদান করে।...... সুরা নাহল, 16:89
এস্কেটলজি নিয়ে যত পড়ছি, বিজ্ঞানে চরম উন্নতির শিখরে পৌঁছা এই যুগটার ভয়ংকর
চেহারাটা ততই ফুটে উঠছে। সভ্যতার ইতিহাস যুগে যুগে ছিল, কিন্তু বর্তমান যুগের মতো ফিতনা এতো প্রকট আকার কোন কালেই ছিলনা। দাজ্জাল অনুসারীরা আধুনিক বিজ্ঞানকে সভ্যতার
আর্শিবাদ বলে বিজ্ঞানের কুখাদ্য গুলোও আমাদের গেলাচ্ছে। খুবই হতাশার মধ্যে আছি, চির শত্রু দাজ্জালকে চিনব কিনা এই ভয়ে।
নিজস্ব চোখ, মগজ থাকা সত্বেও বর্তমান অধিকাংশ মুসলিম দাজ্জালিক মিডিয়ার (সিএনএন, আলজাজিরার) চোখ দিয়ে দেখে, তারা যা দেখায়, যা শুনায় আমরা এখন তা দিয়েই বিবেচনা করি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমরা আল্লাহর দেওয়া এই মন মগজ ব্যবহার করছি না কোন ক্ষেত্রেই।
আধুনিক বিশ্বের হালচাল বুঝতে হল আমাদের কুরআনের আশ্রয় ছাড়া গত্যন্তর নাই। আমাদের ফিরে যেতে হবে, আমাদের আদি গ্রন্থে। বর্তমান বিশ্ব এবং দাজ্জালকে চিনতে হলে আমাদের বাহ্যিক দৃষ্টির সাথে সাথে আল বাসিরাহ (অর্ন্তদৃষ্টিলব্ধ জ্ঞান) অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে। মুসলিম উম্মাহ প্রায় ভুলেই গেছে যে, এই কুরআনের মধ্যে বর্তমান বিশ্ব এবং বাস্তবতাকে বুঝার সবরকম উপাদান রয়েছে। এই বাস্তবতাকে বুঝতে হলে কুরআন শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। প্রথাগত কুরআন শিক্ষা কতটা বাস্তবতা বুঝতে সহায়ক তা প্রশ্নবিদ্ধ সবসময়। বর্তমান আলেমগণ অর্ন্তদৃষ্টিসম্পন্ন না হওয়ার ধরুন দাজ্জাল কনসেপ্ট-এ ততটা এক্সর্পাট নয়, উপরন্তু বাহ্যিক দৃষ্টিসম্পন্ন হওয়ায় দাজ্জাল, ঈসা আ:, ইমাম মাহদী আ:, এই বিষয়গুলোকে রুপকথার আদলে কিস্যা কাহিনীর মতো বয়ান করেই যুগের মাওলানারা পগাড়পার। অপরদিকে যারা অর্ন্তদৃষ্টিসম্পন্ন জ্ঞান দ্বারা বর্তমান বিশ্বকে তুলে ধরছে, তাদের করা হচ্ছে বিরোধীতা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের হেদায়েত বৃহত্তর সমাজের কাছে পৌছাচ্ছে না। এটাও একটি দাজ্জালী চক্রান্ত এই যে, দাজ্জাল চাইনা ইসলামের এই সত্য বিষয়গুলো জনসাধারণের নাগালে চলে আসুক। যেভাবে যুগের মাওলানাদের কিস্যা কাহিনীর ওয়াজে নসীহত যত্রতত্র পাওয়া যায়।
কুরআন বাদ দিয়ে আমরা বিশ্বায়ন, আর্ন্তজাতিক রাজনীতি, বিশ্ব অর্থনীতি, নারী উন্নয়ন তো নয় এমনকি অতিশ্রীগ্রই ইসরাইল রাষ্ট্র যে সুপার পাওয়ারের আসনে সমাসীন হতে যাচ্ছে, তাও বুঝতে পারবো না। কুরআনের আলোকে বর্তমান যুগের বাস্তবতা বুঝতে না পারলে, দাজ্জালিক সিস্টেমের এসব গোল গোল মিষ্টি মিষ্টি প্রথা বিজ্ঞানের অবদান বলে স্বীকার করে, এক প্রকার আল্লাহর কুফরী করেই যাবো সারাজীবন। (Inspired by... Sura Kahaf The Modern Age)
নিজস্ব চোখ, মগজ থাকা সত্বেও বর্তমান অধিকাংশ মুসলিম দাজ্জালিক মিডিয়ার (সিএনএন, আলজাজিরার) চোখ দিয়ে দেখে, তারা যা দেখায়, যা শুনায় আমরা এখন তা দিয়েই বিবেচনা করি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমরা আল্লাহর দেওয়া এই মন মগজ ব্যবহার করছি না কোন ক্ষেত্রেই।
আধুনিক বিশ্বের হালচাল বুঝতে হল আমাদের কুরআনের আশ্রয় ছাড়া গত্যন্তর নাই। আমাদের ফিরে যেতে হবে, আমাদের আদি গ্রন্থে। বর্তমান বিশ্ব এবং দাজ্জালকে চিনতে হলে আমাদের বাহ্যিক দৃষ্টির সাথে সাথে আল বাসিরাহ (অর্ন্তদৃষ্টিলব্ধ জ্ঞান) অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে। মুসলিম উম্মাহ প্রায় ভুলেই গেছে যে, এই কুরআনের মধ্যে বর্তমান বিশ্ব এবং বাস্তবতাকে বুঝার সবরকম উপাদান রয়েছে। এই বাস্তবতাকে বুঝতে হলে কুরআন শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। প্রথাগত কুরআন শিক্ষা কতটা বাস্তবতা বুঝতে সহায়ক তা প্রশ্নবিদ্ধ সবসময়। বর্তমান আলেমগণ অর্ন্তদৃষ্টিসম্পন্ন না হওয়ার ধরুন দাজ্জাল কনসেপ্ট-এ ততটা এক্সর্পাট নয়, উপরন্তু বাহ্যিক দৃষ্টিসম্পন্ন হওয়ায় দাজ্জাল, ঈসা আ:, ইমাম মাহদী আ:, এই বিষয়গুলোকে রুপকথার আদলে কিস্যা কাহিনীর মতো বয়ান করেই যুগের মাওলানারা পগাড়পার। অপরদিকে যারা অর্ন্তদৃষ্টিসম্পন্ন জ্ঞান দ্বারা বর্তমান বিশ্বকে তুলে ধরছে, তাদের করা হচ্ছে বিরোধীতা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের হেদায়েত বৃহত্তর সমাজের কাছে পৌছাচ্ছে না। এটাও একটি দাজ্জালী চক্রান্ত এই যে, দাজ্জাল চাইনা ইসলামের এই সত্য বিষয়গুলো জনসাধারণের নাগালে চলে আসুক। যেভাবে যুগের মাওলানাদের কিস্যা কাহিনীর ওয়াজে নসীহত যত্রতত্র পাওয়া যায়।
কুরআন বাদ দিয়ে আমরা বিশ্বায়ন, আর্ন্তজাতিক রাজনীতি, বিশ্ব অর্থনীতি, নারী উন্নয়ন তো নয় এমনকি অতিশ্রীগ্রই ইসরাইল রাষ্ট্র যে সুপার পাওয়ারের আসনে সমাসীন হতে যাচ্ছে, তাও বুঝতে পারবো না। কুরআনের আলোকে বর্তমান যুগের বাস্তবতা বুঝতে না পারলে, দাজ্জালিক সিস্টেমের এসব গোল গোল মিষ্টি মিষ্টি প্রথা বিজ্ঞানের অবদান বলে স্বীকার করে, এক প্রকার আল্লাহর কুফরী করেই যাবো সারাজীবন। (Inspired by... Sura Kahaf The Modern Age)
Sunday, December 18, 2016
দাজ্জালের আলোচনা উম্মতের জন্য একটি অতিশয় গুরুত্বর্পূণ বিষয়।
আপনারা দেখে থাকবেন, মুসলিম পরিবারগুলোতে মায়েরা যখন সন্তানদেরকে অন্যান্য ইসলামি
আকিদা ও বুনিয়াদি শিক্ষা সম্পর্কে জ্ঞানদান করেন, তখন দাজ্জাল বিষয়েও ধারণা দেওয়ার
চেষ্টা করেন। আপনি যখন ছোট ছিলেন, তখন শৈশবেই আপনার মায়ের জবানে আপনাকে দাজ্জালের
ভয়ানক চিত্র আপনার কচি মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়ে থাকবে। এটি মুসলিম জাতির মায়েদের
সেই প্রশিক্ষণ ছিল, যা সন্তানদের ইসলামি বোধ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হতে দিত না।
কিন্তু এখন সম্ভবত অবস্থা পালটে যাচ্ছে এবং জাহেলি সভ্যতা আজকের মায়েদের এই
গুরুত্বর্পূণ জিম্মধারি থেকে অনেক উদাসীন করে দিয়েছে। তা ছাড়া দাজ্জালেরে আবির্ভাবের
যতগুলো লক্ষণ আছে, তার একটি লক্ষন হলো, সে সময় মানুষ দাজ্জালের আলোচনা ভুলে যাবে।
কাজেই আপনি যদি নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা করার ইচ্ছা
রাখেন, তা হলে এর জন্য ঘরে ঘরে দাজ্জালের আলোচনা অত্যান্ত জরুরি, যাতে আপনার কোলে বেড়ে
ওঠা বংশধর তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু দাজ্জাল সম্পর্কে শৈশব থেকেই সম্যক ধারণা
অর্জন করতে পারে।
Friday, December 16, 2016
সম্ভবত
মুসলিম উম্মাহর দুই দলের মধ্যে তখন ভ্রাতৃঘাতী (উষ্ট্রি যুদ্ধ) যুদ্ধ
হচ্ছিল, আয়েশা সিদ্দিকা র: কাছে এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞেস করছিল, নামাযের
মধ্যে কোন পোকামাকড় বা মশা হত্যা করা যাবে কিনা? আয়েশা সিদ্দিকা র: তখন
রাগান্বিত হয়ে বলেছিল, মুসলিম উম্মাহর দুদলের মধ্যে রক্তপাত হচ্ছে আর তুমি
আসছ ফতোয়া জিজ্ঞেস করতে।
ঘটনাটা হঠাত মনে পড়ল এ কারণে, বর্তমান মুসলিম উম্মাহর অবস্থাও উপরোক্ত ঘটনার মতোই। গোটা পৃথিবীর মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদের পক্ষ হতে চারিদিকে মুসলিম নিপিড়ন, নির্যাতন, হ্ত্যা, ধর্ষণ, খুন, চলছে তো চলছেই।
আর মুসলিম উম্মাহর একাংশ পড়ে আছে নবী নুরের নাকি মাঠির তৈরী, মিলাদুন্নবী পালন বিদয়াত নাকি ইবাদাত, এর মতো সিলি কতগুলো টপিক নিয়ে, যেসব টপিক বাস্তব জীবনে কোন আবেদন সৃষ্টি করতে পারে না, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কোন পরিবর্তন আনয়ন করতে পারেনা। আর এসব বিষয়গুলো ইসলামের এমন কোন জরুরিয়াত বিষয় নয় যে, মানলে বড় মুত্তাকী না মানলে কাফের হয়ে যাবে। যেহেতু এসব ইখতিলাফ বিষয় তা আলোচনার বাইরে রাখাই বাঞ্চনীয়।
আচ্ছা যুক্তির খাতিরে ধরেই নিলাম নবী নুরের তৈরী, তাহলে কি, এই যে কাফেররা মুসলিম উম্মাহর উপর নির্যাতনের যে স্টীম রোলার চালাচ্ছে তা বন্ধ করবে? একই ভাবে ধরে নিলাম নবী মাঠির তৈরী, তাহলে ও কি মুসলিমের উপর চলা এই নিগ্রহ বন্ধ হবে? যদি এসব বিশ্বাসে কিংবা পালনে মুসলিম উম্মাহর এই করুণ অবস্থার কোন পরিবর্তন আনয়ন করতে না পারে, কোন সমাধান দিতে না পারে তাহলে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কেন এই বিভেদ? কেন দলাদলি? কেন এই কাদা ছুড়াছুড়ি?
দলীয় মতবাদের বাইরে গিয়ে চিন্তা করতে পারেনা বলে, এক তরিকার মুসলিম আরেক তরিকার মুসলিমদের মুসলিম হিসেবে মেনেই নিতে পারে না। যতটা না আমরা কাফের মুশরিকদের ঘৃনা করি, তার চেয়ে বেশি এখন এক দলের মুসলিম আরেক দলের মুসলিমদের ঘৃনা করে।
আসাবিয়্যাতের বিষবাষ্প উম্মাহর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে, তাই মুসলিমরা দলমতের উর্দ্ধে গিয়ে ইসলামকে চিন্তা করতে পারে না। যা চিন্তা করে তা দলীয় আবহেই চিন্তা করে।
আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা বলেন, তোমরা কখনো বিভক্ত হয়োনা, আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকো... আল ইমরান।
ঘটনাটা হঠাত মনে পড়ল এ কারণে, বর্তমান মুসলিম উম্মাহর অবস্থাও উপরোক্ত ঘটনার মতোই। গোটা পৃথিবীর মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদের পক্ষ হতে চারিদিকে মুসলিম নিপিড়ন, নির্যাতন, হ্ত্যা, ধর্ষণ, খুন, চলছে তো চলছেই।
আর মুসলিম উম্মাহর একাংশ পড়ে আছে নবী নুরের নাকি মাঠির তৈরী, মিলাদুন্নবী পালন বিদয়াত নাকি ইবাদাত, এর মতো সিলি কতগুলো টপিক নিয়ে, যেসব টপিক বাস্তব জীবনে কোন আবেদন সৃষ্টি করতে পারে না, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কোন পরিবর্তন আনয়ন করতে পারেনা। আর এসব বিষয়গুলো ইসলামের এমন কোন জরুরিয়াত বিষয় নয় যে, মানলে বড় মুত্তাকী না মানলে কাফের হয়ে যাবে। যেহেতু এসব ইখতিলাফ বিষয় তা আলোচনার বাইরে রাখাই বাঞ্চনীয়।
আচ্ছা যুক্তির খাতিরে ধরেই নিলাম নবী নুরের তৈরী, তাহলে কি, এই যে কাফেররা মুসলিম উম্মাহর উপর নির্যাতনের যে স্টীম রোলার চালাচ্ছে তা বন্ধ করবে? একই ভাবে ধরে নিলাম নবী মাঠির তৈরী, তাহলে ও কি মুসলিমের উপর চলা এই নিগ্রহ বন্ধ হবে? যদি এসব বিশ্বাসে কিংবা পালনে মুসলিম উম্মাহর এই করুণ অবস্থার কোন পরিবর্তন আনয়ন করতে না পারে, কোন সমাধান দিতে না পারে তাহলে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কেন এই বিভেদ? কেন দলাদলি? কেন এই কাদা ছুড়াছুড়ি?
দলীয় মতবাদের বাইরে গিয়ে চিন্তা করতে পারেনা বলে, এক তরিকার মুসলিম আরেক তরিকার মুসলিমদের মুসলিম হিসেবে মেনেই নিতে পারে না। যতটা না আমরা কাফের মুশরিকদের ঘৃনা করি, তার চেয়ে বেশি এখন এক দলের মুসলিম আরেক দলের মুসলিমদের ঘৃনা করে।
আসাবিয়্যাতের বিষবাষ্প উম্মাহর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে, তাই মুসলিমরা দলমতের উর্দ্ধে গিয়ে ইসলামকে চিন্তা করতে পারে না। যা চিন্তা করে তা দলীয় আবহেই চিন্তা করে।
আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা বলেন, তোমরা কখনো বিভক্ত হয়োনা, আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকো... আল ইমরান।
Tuesday, December 13, 2016
শোন বাচ্চারা তোমাদের একটা গল্প বলি। গল্পের নাম দাজ্জাল!!! দাজ্জালের
একচোখ কানা থাকবে, কপালে ইয়া বড় আরবী হরফে কাফির লিখা থাকবে, তার একটি
উড়ন্ত গাধা থাকবে, তার দুহাতে থাকবে জান্নাত আর জাহান্নাম, যে তাকে খোদা
বলে মেনে নিবে তাকে সে জান্নাতে আশ্রয় দিবে, আর যে অস্বীকার করবে তাকে সে
জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। একজন লোক আসবেন তার নাম ইমাম মেহেদী (পড়ুন
মাহদী)। ইমাম মেহেদী তার সাথে যুদ্ধ করবে, কিন্তু কোনমতে তার সাথে পেরে
উঠবেনা। সে সময় আসমান থেকে ইসা আ: আসবেন। এবং শেষ পর্যন্ত ঈসা আ: এসে
দাজ্ঝালকে হত্যা করবে........... ব্যাস রুপকথার গল্প শেষ এখন বাচ্চারা সবাই
নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও।
-----
-----
হ্যাঁ আমাদের হুজুররা আমাদের প্রতিদিন এভাবে দাজ্জালের গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ায়। আর আমরা নিশ্চিন্তে চিত্তে ঘুমায়। এ আর এমন কি সামান্য দাজ্জালই তো!!!
-----
-----
হ্যাঁ আমাদের হুজুররা আমাদের প্রতিদিন এভাবে দাজ্জালের গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ায়। আর আমরা নিশ্চিন্তে চিত্তে ঘুমায়। এ আর এমন কি সামান্য দাজ্জালই তো!!!
সাধারণত
পুরুষরা পলিগামিস্ট। একটা নারীতে পুরুষরা কখনোই সন্তুষ্ট নয়, তারপরেও
বর্তমানে দাজ্জালিক সিস্টেমের চাপে পড়ে পুরুষদের একটা নারীতে সন্তুষ্ট
থাকতে হয়। বহুবিবাহকে সমাজে অচ্যুৎ করে তোলা, কিংবা বহুবিবাহ নারী সমাজের
জন্য অবমাননাকর, এভাবে চিন্তা করতে দাজ্জাল যুগের পর যুগ বহুবিবাহর
বিরুদ্ধে প্রপোগান্ডা চালিয়ে আমাদের মাইন্ডসেট তৈরী করে দিয়েছে। আমরা
চাইলেও বহুবিবাহকে চিন্তায় স্থান দিতে পারিনা, এর পক্ষে নিয়ে আলোচনা
চালিয়ে যেতে পারি না, হয় মন মানসিকতা এ বিষযে সায় দেয়না, না হয় সমাজ আর
বউয়ের চোখ রাঙ্গানি বাঁধা হয়ে দাড়ায়।
বহুবিবাহর সাথে আরেকটা বিষয় জড়িত তা হচ্ছে বিধবা বিবাহ। আমরা জানি রসুল স: সহ সাহাবীদের একাধিক স্ত্রীগণের মধ্যে অধিকাংশই ছিল বিধবা। বহুবিবাহের মতো বিধবা বিবাহও ইসলামে একটি সাধারণ নিয়ম, যা ইসলামে স্বত:সিদ্ধ। কিন্তু বর্তমান সিস্টেমে বহুবিবাহ তো বটে বিধবা বিবাহ পর্যন্ত অচ্যুত, অসম্মানজনক করে আমাদের মনে গেঁথে দেওয়া হচ্ছে। ফেমিনিস্টরা নারী উন্নয়ন নিয়ে চিল্লাপাল্লা করলেও বিধবা বিবাহর ব্যাপারে একদম নিশ্চুপ। বহুবিবাহ যদি আজ সমাজে প্রচলিত থাকতো তাহলে অনেক নারীকে সমাজে বিধবা হয়ে জীবন কাটাতে হতোনা, তারাও স্বামী সন্তান নিয়ে সুন্দর একটি জীবন পেত। কিন্তু আফসোস ইসলামের এই সুন্দর বিধানগুলি আমরা মন থেকে মেনে নিতে পারি না।
দাজ্জাল চাই, পুরুষ সমাজ দু তিনটে বিয়ে করে নারীদের ভরণপোষণ, প্রাপ্য মর্যাদা না দিক, তার চেয়ে বরং ফ্রি ফ্রি আট দশটা নারীর সাথে লিভ টুগেদার করুক, জারজ প্রোডাক্টশনের পথটা ক্লিয়ার থাকুক।
বহুবিবাহর সাথে আরেকটা বিষয় জড়িত তা হচ্ছে বিধবা বিবাহ। আমরা জানি রসুল স: সহ সাহাবীদের একাধিক স্ত্রীগণের মধ্যে অধিকাংশই ছিল বিধবা। বহুবিবাহের মতো বিধবা বিবাহও ইসলামে একটি সাধারণ নিয়ম, যা ইসলামে স্বত:সিদ্ধ। কিন্তু বর্তমান সিস্টেমে বহুবিবাহ তো বটে বিধবা বিবাহ পর্যন্ত অচ্যুত, অসম্মানজনক করে আমাদের মনে গেঁথে দেওয়া হচ্ছে। ফেমিনিস্টরা নারী উন্নয়ন নিয়ে চিল্লাপাল্লা করলেও বিধবা বিবাহর ব্যাপারে একদম নিশ্চুপ। বহুবিবাহ যদি আজ সমাজে প্রচলিত থাকতো তাহলে অনেক নারীকে সমাজে বিধবা হয়ে জীবন কাটাতে হতোনা, তারাও স্বামী সন্তান নিয়ে সুন্দর একটি জীবন পেত। কিন্তু আফসোস ইসলামের এই সুন্দর বিধানগুলি আমরা মন থেকে মেনে নিতে পারি না।
দাজ্জাল চাই, পুরুষ সমাজ দু তিনটে বিয়ে করে নারীদের ভরণপোষণ, প্রাপ্য মর্যাদা না দিক, তার চেয়ে বরং ফ্রি ফ্রি আট দশটা নারীর সাথে লিভ টুগেদার করুক, জারজ প্রোডাক্টশনের পথটা ক্লিয়ার থাকুক।
Saturday, December 10, 2016
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সাহাবীদের নিয়ে মজলিসে বসে
আছেন, এমন সময় একজন মহিলা এসে রসুল স: কে প্রস্তাব করলেন আমাকে বিবাহ করুন,
রসুল স: উত্তর দিলেন এই মুহুর্তে আমার বিবাহ করার হুকুম নেই। মহিলাটির
বারবার পিড়াপীড়িতে রসুল স: সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বললেন, কেউ এই মহিলাটিকে
বিবাহ করতে চায় কিনা। একজন সাহাবী বললেন আমি বিবাহ করতে চাই, রসুল স:
জানতে চাইলেন, মোহরানা আদায়ের কি কিছু আছে, সাহাবী বললেন কোরআনের কিছু আয়াত
ছাড়া আমার দেওয়ার মতো কিছু নাই। অগত্য কোরআনের আয়াতগুলোই মোহরানা ধার্য করে তাদের মধ্যে বিবাহ পড়িয়ে দেওয়া হল।(স্মরণ থেকে লিখেছি, হাদিসটি সহি, দয়া করে কেউ হাদিসটির রেফা: দিলে উপকৃত হই)।
হাদিসটি লক্ষ্য করুন, হাদিসটাতে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে।
১। আল্লাহর নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রসুল স: নিজ থেকে বিবাহ করতেন না, তার মানে রসুল স: যতগুলো বিবাহ করেছেন সবগুলো আল্লাহর ইচ্ছাতে হয়েছিল।
২। মহিলা টা নিজ থেকেই রসুল স: কে বিয়ের প্রস্তাব করলেন, এ থেকে কী বুঝা গেল। নারীগণ ও তখন পুরুষদের নিজ থেকে বিবাহের প্রস্তাব দিতে পারতেন। খাদেজা রদিয়াল্লাহ আনহুমা ও রসুল স: কে নিজ থেকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নারীদের সে অধিকার ছিল তখন। আর এখন হাঁটু গেড়ে বসে আইলাবু বলে বিয়ের প্রস্তাব না দিলে নাকি নারীজাতের জাত যায়। নারী স্বাধীনতা নিয়ে নারীরা বেশ চিল্লাফাল্লা করে, কোথায় তাদের স্বাধীনতা সেটাও তাদের কাছে বোধগম্য নয়।
৩। তথন কোরআনের আয়াতও মোহরানা ধার্য করা হত, আর এখন ১০-২০ লাখ টাকা মোহরানা না হলে যেন বিয়েই হয়না। আসলে এখন মোটা অংকের মোহরানা ধার্য করা হয় মুলত তালাকের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে, ভবিষ্যতে যেন তালাক দিতে গেলে ছেলে পক্ষকে ১৪ ঘাটের পানি খেতে হয়।
৪। বিয়ের ক্ষেত্রে দারিদ্রতা কোন ফ্যাক্টর হতে পারে না, যদি বিয়ের ক্ষেত্রে দারিদ্রতা কোন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট হতো তাহলে নিশ্চয় রসুল স: ঐ নি:সম্বলহীন সাহাবীকে বিয়ে পড়িয়ে দিতেন না।
সুরা নুরের একটি আয়াত বলি (স্মরণ থেকেই বলছি), তোমাদের বিবাহ যোগ্য দাসদাসীদের মধ্যে বিবাহ করিয়ে দাও, যদি তারা গরীব হয় আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের ধনী বানিয়ে দিবেন।
মাশা-আল্লাহ, আল্লাহ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিয়ে করলে আল্লাহ তার নিজ অনুগ্রহে আমাদের ধনী বানিয়ে দিবেন। আর আমরা আল্লাহর উপর ভরসা না করে, বিয়ে না করে, উপরন্তু বিয়ে করার জন্য ৩০-৩৫ বছর গাধার খাটুনি খেটেও বিয়ে করার সামর্থ অর্জন করতে পারিনা। এই জায়গাটায় আমরা তরুনরা বেকুবই রয়ে গেলাম, প্রেমের নামে হাজার টাকা জলে ঢালবো, মাগার বিয়ে করবো না, এই অবস্থায় আল্লাহর অনুগ্রহের আশা করি কোন আক্কলে (বিয়ে করে ধনী হবা, নাকি ধনী হইয়া বিয়া করবা, কোনটা??)।
এবার ওমর র: একটা বানী বলি (এটাও স্মরণ থেকে), মানুষ কি বেকুব!!, মানুষ ধনী হওয়ার জন্য সহজ পথ অবলম্বন করেনা, আর আল্লাহ বিয়ের মাধ্যমে রিজিক প্রশস্থ্য করে দেন।
আমাদের সমাজের অধিকাংশ মেয়েগুলোও ব্রেইনওয়াশড। ছেলের দ্বীনদারীর চেয়ে তার পকেট কত ভারী সে দিকেই খেয়াল বেশী।
বিয়ে নিয়েও দাজ্জাল আমাদের অবচেতন মনকে বেশ দখলে নিয়েছে দেখছি। মানি বা না মানি, আমাদের মনের অজান্তেই আমরা দাজ্জালের অনুসরণ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
হাদিসটি লক্ষ্য করুন, হাদিসটাতে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে।
১। আল্লাহর নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রসুল স: নিজ থেকে বিবাহ করতেন না, তার মানে রসুল স: যতগুলো বিবাহ করেছেন সবগুলো আল্লাহর ইচ্ছাতে হয়েছিল।
২। মহিলা টা নিজ থেকেই রসুল স: কে বিয়ের প্রস্তাব করলেন, এ থেকে কী বুঝা গেল। নারীগণ ও তখন পুরুষদের নিজ থেকে বিবাহের প্রস্তাব দিতে পারতেন। খাদেজা রদিয়াল্লাহ আনহুমা ও রসুল স: কে নিজ থেকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নারীদের সে অধিকার ছিল তখন। আর এখন হাঁটু গেড়ে বসে আইলাবু বলে বিয়ের প্রস্তাব না দিলে নাকি নারীজাতের জাত যায়। নারী স্বাধীনতা নিয়ে নারীরা বেশ চিল্লাফাল্লা করে, কোথায় তাদের স্বাধীনতা সেটাও তাদের কাছে বোধগম্য নয়।
৩। তথন কোরআনের আয়াতও মোহরানা ধার্য করা হত, আর এখন ১০-২০ লাখ টাকা মোহরানা না হলে যেন বিয়েই হয়না। আসলে এখন মোটা অংকের মোহরানা ধার্য করা হয় মুলত তালাকের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে, ভবিষ্যতে যেন তালাক দিতে গেলে ছেলে পক্ষকে ১৪ ঘাটের পানি খেতে হয়।
৪। বিয়ের ক্ষেত্রে দারিদ্রতা কোন ফ্যাক্টর হতে পারে না, যদি বিয়ের ক্ষেত্রে দারিদ্রতা কোন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট হতো তাহলে নিশ্চয় রসুল স: ঐ নি:সম্বলহীন সাহাবীকে বিয়ে পড়িয়ে দিতেন না।
সুরা নুরের একটি আয়াত বলি (স্মরণ থেকেই বলছি), তোমাদের বিবাহ যোগ্য দাসদাসীদের মধ্যে বিবাহ করিয়ে দাও, যদি তারা গরীব হয় আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের ধনী বানিয়ে দিবেন।
মাশা-আল্লাহ, আল্লাহ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিয়ে করলে আল্লাহ তার নিজ অনুগ্রহে আমাদের ধনী বানিয়ে দিবেন। আর আমরা আল্লাহর উপর ভরসা না করে, বিয়ে না করে, উপরন্তু বিয়ে করার জন্য ৩০-৩৫ বছর গাধার খাটুনি খেটেও বিয়ে করার সামর্থ অর্জন করতে পারিনা। এই জায়গাটায় আমরা তরুনরা বেকুবই রয়ে গেলাম, প্রেমের নামে হাজার টাকা জলে ঢালবো, মাগার বিয়ে করবো না, এই অবস্থায় আল্লাহর অনুগ্রহের আশা করি কোন আক্কলে (বিয়ে করে ধনী হবা, নাকি ধনী হইয়া বিয়া করবা, কোনটা??)।
এবার ওমর র: একটা বানী বলি (এটাও স্মরণ থেকে), মানুষ কি বেকুব!!, মানুষ ধনী হওয়ার জন্য সহজ পথ অবলম্বন করেনা, আর আল্লাহ বিয়ের মাধ্যমে রিজিক প্রশস্থ্য করে দেন।
আমাদের সমাজের অধিকাংশ মেয়েগুলোও ব্রেইনওয়াশড। ছেলের দ্বীনদারীর চেয়ে তার পকেট কত ভারী সে দিকেই খেয়াল বেশী।
বিয়ে নিয়েও দাজ্জাল আমাদের অবচেতন মনকে বেশ দখলে নিয়েছে দেখছি। মানি বা না মানি, আমাদের মনের অজান্তেই আমরা দাজ্জালের অনুসরণ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
সমগ্র পবিত্রভূমির জন্য এখনও পর্যন্ত গ্যালিলি হ্রদই হচ্ছে মিঠা পানির
প্রধান উৎস। ইসরাইলী, ফিলিস্তীনি ও জর্ডানবাসীরা তাদের পানির জন্য গ্যালিলিও হ্রদের উপর উল্লেখযোগ্য ভাবে নির্ভরশীল। গ্যালিলিও হ্রদ যদি কখনোও শুকিয়ে যায় (যেমনটি রাসুলুল্লাহ সা: এর হাদিসে ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে), ইসরাইলীরা সহজেই সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা দূরীকরণ প্রকল্প ব্যবহার করে তাদের মিঠা পানির অভাবের সমাধান করতে পারবে। কিন্তু ফিলিস্তিনী ও জর্ডানবাসীদের জন্য কোন বিকল্প থাকবে না। তারা এক ধরনের জিম্মি হয়ে পড়বে এবং বেঁচে থাকার জন্য ইসরাইলীদের কাছ থেকে পানি ক্রয় করতে বাধ্য হবে। ইহুদীরা রিবার অর্থনৈতিক অস্ত্র প্রয়োগ করে ইতোমধ্যেই তাদেরকে যেভাবে দারিদ্রসীমার নিচে নিয়ে গেছে, তাতে বুঝা যায় যে তাদের ঐ ধরনের প্রকল্প থেকে পানি কেনার সামর্থ থাকবেনা। যার ফলশ্রুতিতে পানি পাবার জন্য, তাদেরকে ইসরাইলের কাছে রাজনৈতিকভাবে আত্মসমর্পন করতে হবে। আর তারা যদি তা না করে, সেক্ষেত্রে তারা মৃত্যুবরণ করবে।
পরিশেষে, গ্যালিলি হ্রদের পানির গভীরতা এখন এতই নিচে নেমে গেছে যে, ইসরাইলের তার “পানির চাল” ব্যবহার করার ক্ষণটি আর খুব বেশী দূরে নেই।
...............................কুরআনে জেরুজালেম
প্রধান উৎস। ইসরাইলী, ফিলিস্তীনি ও জর্ডানবাসীরা তাদের পানির জন্য গ্যালিলিও হ্রদের উপর উল্লেখযোগ্য ভাবে নির্ভরশীল। গ্যালিলিও হ্রদ যদি কখনোও শুকিয়ে যায় (যেমনটি রাসুলুল্লাহ সা: এর হাদিসে ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে), ইসরাইলীরা সহজেই সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা দূরীকরণ প্রকল্প ব্যবহার করে তাদের মিঠা পানির অভাবের সমাধান করতে পারবে। কিন্তু ফিলিস্তিনী ও জর্ডানবাসীদের জন্য কোন বিকল্প থাকবে না। তারা এক ধরনের জিম্মি হয়ে পড়বে এবং বেঁচে থাকার জন্য ইসরাইলীদের কাছ থেকে পানি ক্রয় করতে বাধ্য হবে। ইহুদীরা রিবার অর্থনৈতিক অস্ত্র প্রয়োগ করে ইতোমধ্যেই তাদেরকে যেভাবে দারিদ্রসীমার নিচে নিয়ে গেছে, তাতে বুঝা যায় যে তাদের ঐ ধরনের প্রকল্প থেকে পানি কেনার সামর্থ থাকবেনা। যার ফলশ্রুতিতে পানি পাবার জন্য, তাদেরকে ইসরাইলের কাছে রাজনৈতিকভাবে আত্মসমর্পন করতে হবে। আর তারা যদি তা না করে, সেক্ষেত্রে তারা মৃত্যুবরণ করবে।
পরিশেষে, গ্যালিলি হ্রদের পানির গভীরতা এখন এতই নিচে নেমে গেছে যে, ইসরাইলের তার “পানির চাল” ব্যবহার করার ক্ষণটি আর খুব বেশী দূরে নেই।
...............................কুরআনে জেরুজালেম
একটা সময় আমরা হাড়কাঁপানো শীতের ভোরে উঠেই নাকে মুখে মাপলার গুঁজে, নুরানী,
আমপারা, কোরআন, বুকে আঁকড়ে ধরে মক্তব পানে ছুটতাম, মৌলভীর বেতের বাড়ি
খাওয়ার ভয়ে, আলিফ যবর আ, বা যবর বা, কিংবা নুনের ওপর দুই যবর, নুনের নিচে
দুই যের এক নি:শ্বাসে জোরে জোরে কোরাস সমেত পড়তাম, স্বপ্নের মতো ছিল
দিনগুলো.........। এখানেও দাজ্জাল আমাদের মায়েদের মগজ ধোলাই করে ফেলেছে
পুরোদমে, সন্তানের চরিত্র চুলোয় যাক! যেকোন উপায়ে সন্তানকে ডাক্তার,
ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার বানাতেই পারলেই কেল্লাফতে। সকালে উঠেই আধুনিক মায়েরা
সন্তানদের পিঠে উঠিয়ে দেয় একগাদা গাজাখুরি সেকুল্যার বইয়ের ব্যাগ। শিক্ষা
নাকি জাতির মেরুদন্ড!! এসব কোমলমতি সন্তানদের শরীরের মেরুদন্ড ঠিক মতো সোজা
হওয়ার পূর্বেই, সেকুল্যার শিক্ষার ব্যাগ তাদের কাঁধে উঠিয়ে দিয়ে জাতির
মেরুদন্ড কতটুকু দন্ডায়মান করা হচ্ছে তা বলা যায় না, কিন্তু আগামী
প্রজম্মের চিন্তার মেরুদন্ড যে দিন দিন কুঁজো হওয়ার পথে তা হলফ করে বলা
যায়।
Thursday, December 1, 2016
আদর্শ
সেলিব্রেটি কথন
বর্তমানে প্রাত্যহিক জীবনে আদর্শ কিংবা রোল মডেল হিসাবে স্যাটানিক সেলিব্রেটিদের কদর বেশ চোখে পড়ার মতো। এসব সেলিব্রেটিদের অভিনয়, সঙ্গীত, লাইফ স্টাইল, দেখে দেখে মানবজাতির একাংশ তাদের অনুসরণ করে যাচ্ছে। তাদের মতোই পোষাক পরিচ্ছেদ, তাদের মতোই জীবন যাপন। এভাবে অনুরসণ করতে গিয়ে মানুষ তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে শয়তানের ভৃত্যে পরিনত হচ্ছে। শয়তান এই জায়গাটায় বেশ দখলে নিয়েছে বলা যায়। একটা সময় মদ্যপান, ব্যাভিচার, সমকাম, বাইসেক্স, লিভটুগেদার, এসব শুনলে মানুষ ছি ছি করতো, আর এখন এসব নোংরা জিনিসগুলো সেলিব্রেটিরা বিনোদনের নাম দিযে নৈতিকতার মোড়কে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসছে।
মিউজিক, অভিনয়, সাহিত্য এসব স্নায়ু উত্তেজক উপাদান দিয়ে সমকাম, বাইসেক্স, লিভটুগেদার, এসব নোংরা জিনিসগুলোতে মানবাজাতিকে বেশ অভ্যস্ত করে তুলেছে।
আদর্শ নিয়ে যা বলছিলাম,,, যুদ্ধ কিংবা হাঙ্গামা বাধিয়ে কোন জাতির আদর্শ টলানো কখনোই সম্ভব নয়। একটি সুসভ্য আদর্শকে টলাতে তার বিপরীত আরো কয়েকটি নোংরা অাদর্শ উদ্ভাবন জরুরি। পাওয়ার এলিটরা ঠিক এই জায়গাটায় গ্লোবালাইজেশন, সংস্কৃতি বিস্তার, এসব নাম দিয়ে সর্বগ্রাসী আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসবের পিছনে জায়োনিস্টরা কাজে লাগিয়েছে লক্ষ লক্ষ সেলিব্রেটি নামক পাপেটদের।
আর এসব স্যাটানিক সেলিব্রেটিদের লাইফ স্টা্ইল অনুসরণ করতে গিয়ে সৃষ্টির আদিকাল থেকে বিরাজ করা মানুষের ভিতর আত্মার যে শুভ্রতা, পবিত্রতা, তা এখন পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার উপক্রম সেলিব্রেটি
বর্তমানে প্রাত্যহিক জীবনে আদর্শ কিংবা রোল মডেল হিসাবে স্যাটানিক সেলিব্রেটিদের কদর বেশ চোখে পড়ার মতো। এসব সেলিব্রেটিদের অভিনয়, সঙ্গীত, লাইফ স্টাইল, দেখে দেখে মানবজাতির একাংশ তাদের অনুসরণ করে যাচ্ছে। তাদের মতোই পোষাক পরিচ্ছেদ, তাদের মতোই জীবন যাপন। এভাবে অনুরসণ করতে গিয়ে মানুষ তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে শয়তানের ভৃত্যে পরিনত হচ্ছে। শয়তান এই জায়গাটায় বেশ দখলে নিয়েছে বলা যায়। একটা সময় মদ্যপান, ব্যাভিচার, সমকাম, বাইসেক্স, লিভটুগেদার, এসব শুনলে মানুষ ছি ছি করতো, আর এখন এসব নোংরা জিনিসগুলো সেলিব্রেটিরা বিনোদনের নাম দিযে নৈতিকতার মোড়কে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসছে।
মিউজিক, অভিনয়, সাহিত্য এসব স্নায়ু উত্তেজক উপাদান দিয়ে সমকাম, বাইসেক্স, লিভটুগেদার, এসব নোংরা জিনিসগুলোতে মানবাজাতিকে বেশ অভ্যস্ত করে তুলেছে।
আদর্শ নিয়ে যা বলছিলাম,,, যুদ্ধ কিংবা হাঙ্গামা বাধিয়ে কোন জাতির আদর্শ টলানো কখনোই সম্ভব নয়। একটি সুসভ্য আদর্শকে টলাতে তার বিপরীত আরো কয়েকটি নোংরা অাদর্শ উদ্ভাবন জরুরি। পাওয়ার এলিটরা ঠিক এই জায়গাটায় গ্লোবালাইজেশন, সংস্কৃতি বিস্তার, এসব নাম দিয়ে সর্বগ্রাসী আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসবের পিছনে জায়োনিস্টরা কাজে লাগিয়েছে লক্ষ লক্ষ সেলিব্রেটি নামক পাপেটদের।
আর এসব স্যাটানিক সেলিব্রেটিদের লাইফ স্টা্ইল অনুসরণ করতে গিয়ে সৃষ্টির আদিকাল থেকে বিরাজ করা মানুষের ভিতর আত্মার যে শুভ্রতা, পবিত্রতা, তা এখন পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার উপক্রম সেলিব্রেটি
Subscribe to:
Posts (Atom)